নোটিস বোর্ডে দু’পক্ষের পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে পোস্টার সাঁটা নিয়ে সোমবার গোলমাল হল চুঁচুড়ার জলসম্পদ ভবনে। অভিযোগ, দুই আন্দোলনকারীকে আটকে রাখেন সরকারি কর্মচারীদের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের লোকজন। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ মানেননি।
হুগলি জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য স্বপন রায় সেচ দফতরের এক কর্মীকে নিয়ে এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ধর্মঘটের সমর্থনে চুঁচুড়ার ধরমপুরের কাছে জলসম্পদ ভবনে পোস্টার মারতে যান। অভিযোগ, দফতরের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে নোটিস বোর্ডে দু’টি পোস্টার সাঁটাতেই শুরু হয় বাগবিতন্ডা। বাধাদানকারীরা বাইরের গেট আটকে দেন। স্বপনের অভিযোগ, ‘‘আমাদের আটকে রাখা হয়। গালিগালাজ করা হয়।’’ গোলমালের খবর পেয়ে কো-অর্ডিনেশন কমিটির জনা তিরিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের দাবি, এর পরেই ওই দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চুঁচুড়ার সিপিএম নেতা সমীর মজুমদার বলেন, ‘‘ডিএ মুখ্যমন্ত্রীকে দিতেই হবে। না হলে পদ ছাড়তে হবে। তৃণমূলের কাছ থেকে বাধা আরও আসবে। আমরাও ১০ তারিখের জন্য তৈরি।’’ বাধার অভিযোগ উড়িয়ে হুগলি-চুঁচুড়া শহর তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব মিত্রের দাবি, ‘‘৩৪ বছরের বাম আমলে অবরোধ-ধর্মঘটের যন্ত্রণা মানুষ দেখেছেন। তাই, ধর্মঘটকে আর সমর্থন করছেন না কেউ। মানুষই ওঁদের বাধা দিতে পারে। তৃণমূল কিছু করেনি।’’ ঘটনাস্থলে দেখা গেল, ধর্মঘটের প্রতিবাদে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের তরফেও পাল্টা পোস্টার সাঁটা হয়েছে।