ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
ভাইজ্যাগ যাওয়ার পথে ওড়িশার গঞ্জামে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ছ’জন বাসিন্দার। এঁদের মধ্যে পাঁচ জন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের সুলতানপুরের বাসিন্দা। দু’জন একই পরিবারের বাসিন্দা। বাকি এক জন মৃত পর্যটকের বাড়ি হুগলি জেলার আঁটপুরে। তাঁর নাম স্বপন গুছাইত (৫০) এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদয়নারায়ণপুরে এই মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকে মুহ্যমান পরিবার।
মুখ্যমন্ত্রী শোকপ্রকাশ করে টুইটে লেখেন, ‘আমাদের রাজ্যের ছ’জন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। বুধবার ভোরে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় একটি বাসে ভাইজাগ যাওয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।’
তিনি জানান, মৃতদের দ্রুত ময়নাতদন্ত, আহতদের চিকিৎসা এবং তাঁদের ফিরে আসার জন্য রাজ্য প্রশাসন এবং ওড়িশার আধিকারিকরা সমন্বয় রেখে কাজ করছে।
মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার ৭০ জনের একটি দল ভাইজ্যাগের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এঁদের বেশির ভাগই উদনারায়ণপুরের সুলতানপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনার খবর আসে পরিবারের কাছে। তার পর শোকের ছায়া এলাকায়। ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবারের কয়েক জন ওড়িশার দিকে রওনা দিয়েছেন। উদনারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, মোট ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের দেহ দ্রুত ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ১০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের ব্রহ্মপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
মৃতদের কয়েক জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। এঁদের নাম সুপ্রিয়া দেড়ে, সঞ্জিত পাত্র, রিমা দেড়ে, মৌসুমি দেড়ে বর্ণালী মান্না। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুলতানপুরের রাজকুমার দেড়ের পরিবারের ছ’জন বেড়াতে গিয়েছিলেন। পর্যটক ভর্তি বাসটি খাদে পড়লে আহত হন রাজকুমারের বাবা, মা, জেঠু জেঠিমা এবং দুই বোন। জেঠিমা, জেঠতুতো এক বোন মারা যান। বাবা অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন। বাকিরাও অল্পবিস্তর জখম। পরিবারের সদস্যদের কথায়, ‘‘প্রতি বছর বেড়াতে যাওয়া হয়। এমন ঘটনা যে ঘটে যাবে তা বুঝতে পারিনি।’’
আঁটপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রণব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উয়দনারায়নপুরের বাসে আঁটপুর থেকে তিন জন গিয়েছিলেন। স্বপন গুছাইত, সুমন ভৌমিক ও বিমল দাস। বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্বপনের। বাকি দু’জন অল্প আহত হন।’’