ফাইল চিত্র।
বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্য ঘিরে হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় আরও কড়া পদক্ষেপ করল নবান্ন। হাওড়ার উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দুই এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে ১০ জনের শীর্ষ আধিকারিককে নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করল স্বরাষ্ট্র দফতর। ওই ১০ জন শীর্ষ আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
হাওড়ায় পুলিশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নেতৃত্ব দেবেন এডিজি ও আইজি নীরজ কুমার সিং। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আইপিএস নিশাথ পারভেজ। ডিআইডি সিআইডি (অপারেশন) মীরাজ খালিদ, ডিআইজি (সীমান্ত) আইবি সুমনজিৎ রায়, আইপিএস অঞ্জলি সিং, এসপি সিআইএফ হোসেন মেহেদি রহমান ও আইপিএস অজিত সিং যাদব। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকিতে থাকবেন এডিজি ইবি অজয় কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ডিআইজি সিআইডি (স্পেশাল) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, ডিআইজি (এপি) দুর্গাপুর ফারহাত আব্বাস, আইপিএস চন্দ্রশেখর বর্ধন ও আইপিএস অনামিত্র দাস।
নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে গত দু'দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় চেঙ্গাইল স্টেশনে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, ধুলাগড়ে অশান্তির খবর মিলেছিল। ডোমজুড় থানায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর আগে বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ ছিল। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উলুবেড়িয়ায় আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত পাঁচ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।