ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কয়েক মাস ধরেই কলকাতা পুরসভায় এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ছিল যে, সরকারি উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার তৈরি করে দেওয়া ‘বাংলার বাড়ি’ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বস্তি ও ঠিকায় পাওয়া লিজের জমিতে গরিব জনতার জন্য আনা এই প্রকল্পের বাড়ি হাতবদল হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন, কোনও ভাবেই 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে তৈরি ঘর বা বাড়ি বিক্রি করা বা অন্যের নামে নথিভুক্ত করা যাবে না।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘‘বাংলার বাড়ি’ কেনা বা বেচা দুই-ই অপরাধ। কারণ, এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে তা ১৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে তা পরিবারের লোক পেতে পারে। যেমন বাবার পর ছেলে। কিন্তু কোনও ভাবেই বিক্রয় বা ক্রয় করা যাবে না।’’ মেয়র জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে পাওয়া বাড়ির সঙ্গে সরাসরি দিল্লির যোগ রয়েছে। কারণ আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করেই এই বাড়িটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘কয়েকটি অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। তাই আমরা বলছি, যাঁরা কিনবেন বা যাঁরা বেচবেন, তাঁদের নিজেদের ঝুঁকিতেই তা করতে হবে।’’ ছোট ছোট পুরসভাগুলিতেও বাড়ি তৈরির অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী। তবে সে ক্ষেত্রেও 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে পাওয়া বাড়ি যে হাতবদল বা বিক্রয় করা যাবে না, তা-ও সরকারপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে।
কলকাতার নোনাডাঙায় এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। মেয়রকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নোনাডাঙাতে যে কাজ অয়েছে, তা বৈধ নয়। কারণ সরকার যদি এই ধরনের কাজ ধরতে পারে, তবে জমি ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও সরকারপক্ষের রয়েছে। সবার আগে দেশের আইন। সবাইকেই তা মেনে চলতে হবে। তাই পুরসভার তরফে এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল।’’