রাজ্যে রোগী রেফারের প্রত্যাশিত হার সাত শতাংশেরও কম। ফাইল চিত্র ।
গত এক দশকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় প্রভূত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও কমানো যাচ্ছে না এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী রেফারের সংখ্যা। জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে অনুরোধ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই রোগী স্থানান্তরের হার (হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কত শতাংশকে চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে) প্রত্যাশিত হারের চেয়ে বেশি।
রাজ্যে রোগী রেফারের প্রত্যাশিত হার সাত শতাংশেরও কম। আর পরামর্শ ছাড়াই রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রত্যাশিত হার তিন শতাংশের কম। প্রসঙ্গত, ভর্তি থাকা রোগীকে চিকিৎসার পরামর্শ না দিয়ে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হলে, তাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘লামা’ বলা হয়। চিঠিতে তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতর জানায়, সাধারণ এবং মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ধরে রাজ্যের মোট ৯০টি জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালের মধ্যে অন্তত ৩৯টি হাসপাতালে রোগী রেফারের হার সাত শতাংশের বেশি। এই হার ১০ শতাংশের বেশি অন্তত ২১ হাসপাতালে। অন্য দিকে, রাজ্যের ৫০ হাসপাতালে ‘লামা’-র হার তিন শতাংশের বেশি। আবার, ১৯ হাসপাতালে এই হার ১৯ শতাংশের বেশি।
চিঠির শুরুতেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পরিকাঠামোগত উন্নতিতে বিশেষ করে নজর দেওয়ার মূল কারণই হল স্থানীয় হাসপাতালেই যাতে রোগীর দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব হয়। রোগীদের যাতে দূরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে না হয়। এতে রোগীর পরিবারের খরচও বাঁচে। এই লক্ষ্যেই গত ১০ বছরে রাজ্যে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ, মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে শয্যা, সিসিইউ এবং এইচডিইউ-র সংখ্যা। তা সত্ত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী স্থানান্তর।
কেন বাড়ছে রোগী রেফার, তার কারণ খোঁজার অনুরোধ জানিয়েই জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, কী ভাবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব, সেই সংক্রান্ত পরামর্শ চাওয়া হয়েছে তাঁদের থেকে।