Santanu Banerjee arrested by ED

রাত ১১.৪৫, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনুকে গ্রেফতার করল ইডি, চাইবে হেফাজতে

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হুগলির যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক বার ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তেমনই শুক্রবার ইডি দফতরে ঢোকেন শান্তনু। তার পর দীর্ঘ জেরা এবং গ্রেফতার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ০০:১৫
Share:

হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

অবশেষে শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরকারি ভাবে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিকেলের পর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকালে ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন শাসক দলের যুবনেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু। দিনভর জেরার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন শান্তনু। তার পর থেকেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতিতেই ধৃত তৃণমূলের আর এক যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতেও শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শান্তনুকে ডেকে পাঠিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কখনও তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকেরা। কখনও বা তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে তাঁর বাড়িতেও।

জানুয়ারি মাসেই শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ইডি সূত্রের দাবি, তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও দাবি, শুক্রবার ওই বিষয়েও নিয়েও গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শান্তনু। সূত্রের খবর, শান্তনুর বয়ানে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ খুঁজে পায় ইডি। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

Advertisement

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির দিনও দেখা গিয়েছিল, ইডি তাঁকে সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বাড়ি থেকে বার করে। কিন্তু পরে নথিতে দেখা যায়, সরকারি ভাবে পার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মধ্যরাতেই। সেই সময় তদন্তকারীদের একটি অংশ জানিয়েছিলেন, গ্রেফতারির আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটি মূলত প্রশাসনিক। নথি-নির্ভর প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। শান্তনুর ক্ষেত্রে সন্ধ্যাতেই জল্পনা তৈরি হয়, তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বস্তুতপক্ষে, তখন তাঁকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে রাত গড়িয়ে যায়। রাত ১১টা ৪৫মিনিটে গ্রেফতার করা হয় শান্তনুকে।

প্রসঙ্গত, হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের গ্রেফতারির পরেই শান্তনুর নাম উঠে আসে। কিন্তু কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি শান্তনুকে চেনেন না। যদিও ইডির একটি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই কুন্তল এবং শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement