দিঘার সৈকতে পর্যটকদের ঢল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
একে সপ্তাহান্ত। দোসর দোল উৎসবের ছবি। শনি, রবি, সোম, মঙ্গল— টানা চার দিনের ছুটিতে সৈকত শহর দিঘায় ভিড় উপচে পড়বে বলে আশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। শনিবার থেকেই সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, শনিবার দুপুরের আগেই ৮০ শতাংশ লজ এবং হোটেলের ঘর বুকিং হয়ে গিয়েছে। ফাঁকা ঘরগুলিও রবিবারের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। একই অবস্থা অন্য মন্দারমণি, তাজপুর এবং শঙ্করপুরেও। এ ব্যাপারে মন্দারমণির এক হোটেল মালিক মৃন্ময় মান্না বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতেই হোটেল বুকিং প্রায় হয়ে গিয়েছে। যারা একটানা হোটেলে থাকবেন, তাঁদের জন্য প্রতিদিন সান্ধ্যয় বিনোদনমূলক নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।’’ সেখানের হোটেল মালিক সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল দাস বলেন, ‘‘দোলের আগে বাড়তি দু-দিনের ছুটি থাকার জন্য এবার পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।’’
পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে যেমন প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসন। চলতি সপ্তাহে দিঘা, দিঘা মোহনা, রামনগর এবং মন্দারমণি কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং হোটেল ব্যবসা ও অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত সকলকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এ দিন থেকে অতিরিক্ত সাদা পোশাকের পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন করতে জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতর এবং বিশেষজ্ঞরা। সৈকত শহরগুলিতে পর্যটক আগমণে যাতে ভাইরাস নিয়ে কোনও গুজব না চড়া এবং অপ্রীতিকতর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পর্যটকদের সচেতন করার জন্য লিফলেট ছাপানোর পাশাপাশি হোটেল কর্মচারীদের এ ব্যাপারে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের সম্পর্কে বাড়তি খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ও হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে বলে রামনগর-১ ব্লক প্রশাসন মারফত জানা গিয়েছে।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক এলেও, তাঁদের সুরক্ষার জন্য সবরকম বন্দোবস্ত রয়েছে।’’