প্রতীকী ছবি ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সরকারি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হল। মৃতের নাম শ্যামল অধিকারী। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্বাস্থ্য ভবনের ক্যান্টিনের পিছনে একটি গাছের নীচে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য ভবনের পাঁচতলায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কার্যালয়। সেখানেই ডিরেক্টর অব হেলথ সার্ভিসেসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব শ্যামলবাবু।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাস্থ্য ভবনের কর্মীরা জানিয়েছেন, দেহটি যেখানে পড়ে ছিল, সেখানে কোনও রক্তের দাগ তাঁরা দেখেননি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের কাছে একটি কাঠের সিঁড়ি এমন ভাবে ছিল যেন সেটি গাছে ওঠার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে কী ভাবে শ্যামলবাবুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা।
মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন শ্যামলবাবু। সম্প্রতি মেজাজ হারিয়ে তিনি নিজের মোবাইল ফোনও ভেঙে ফেলেছিলেন। এ দিন ওই কর্মীর দেহের পাশ থেকে তাঁর ভাঙা মোবাইল, একটি ব্যাগ এবং যে স্কুটারে তিনি অফিসে যাতায়াত করতেন সেটি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী যে মানসিক ভাবে এত বিপর্যস্ত, তা কোনও কর্তা-আধিকারিক কেন জানতে পারলেন না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তার স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।