—ফাইল চিত্র।
নারদ মামলায় চার্জশিট পেশের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুমতির আর্জি দ্রুত পাঠাতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টি বি রাধাকৃষ্ণন। নারদ মামলায় চার্জশিট পেশে দেরি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই মামলায় আবেদনকারীর তরফে দাবি করা হয়েছিল যে নারদ মামলায় চার্জশিট জমা দিতে বিধানসভা ও লোকসভার অধ্যক্ষ কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সিবিআই জানায়, তারা লোকসভার অধ্যক্ষর কাছে অনুমতি চেয়েছে। যদিও রাজ্য জানায়, সোমবার পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষ কাছে কোন অনুমতি চাওয়া হয়নি। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে দ্রুত বিধানসভার অধ্যক্ষকে অনুমতির আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার ২৯ জানুয়ারী মামলার পরবর্তী শুনানি।
আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মীর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না-পেলে আদালত অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে না। চার্জশিট পেশ করলে যেহেতু মামলাটি আদালতকে গ্রহণ করতেই হবে তাই অনুমতি ছাড়া চার্জশিট পেশ করে কোনও লাভ নেই। তাই অনুমতির প্রসঙ্গ বারবার উঠেছে।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা ও লোকসভার আইনসভার ক্ষমতার পাশাপাশি বিচারবিভাগীয় ক্ষমতাও আছে। বিচারপতিদের ‘ইমপিচ’ করতে হলে তা লোকসভা করে। তাই সংবিধানে বিধায়ক ও সাংসদদের কিছু ‘প্রিভিলেজ’ রয়েছে। স্পিকারের ক্ষেত্রেও কিছু ‘প্রিভিলেজ’ সংক্রান্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাই বিধায়ক ও সাংসদদের গ্রেফতার করতে হলে বা আইনি ব্যবস্থা নিতে হলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়।