সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। —নিজস্ব চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল হবে সন্দেশখালিতে? সোমবার আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে প্রশ্ন করা হয়েছিল সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে। সেই উত্তর না দিলেও সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘কয়েক দিন অপেক্ষা করুন, ঠিক জানতে পেরে যাবেন।’’ সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল শাহজাহানকে। শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে ওই প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে ‘অপেক্ষার’ কথা বললেও সন্দেশখালিতে এখনও তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শাহজাহান।
সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বসিরহাট কেন্দ্রের সন্দেশখালি। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নামেন এলাকার মহিলারা। মহিলাদের নির্যাতন থেকে শুরু করে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ ওঠে শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এর পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান গ্রেফতার হন রাজ্য পুলিশের হাতে। এর পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। পরে ইডিও হেফাজতে নেয় সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি।
শাহজাহানের গ্রেফতারির পর থেকে সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তার মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে সন্দেশখালিরই গৃহবধূ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী করেছে হাজি নুরুল ইসলামকে। আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ সেখানে।
সেই সন্দেশখালিতে নির্বাচনী ফল কেমন হবে, তা নিয়েই সোমবার প্রশ্ন করা হয়েছিল শাহজাহানকে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট ভাবে কোনও উত্তর দিলেন না। ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানালেন তিনি। তবে এখনও সন্দেশখালিতে তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনও জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, শাহজাহান শেখ দাবি করেছিলেন, ইডি হেফাজতে তাঁকে দিয়ে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর সেই বয়ান প্রত্যাহারের আবেদনের সোমবার বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক প্রশ্ন তুলেছেন, ওই আবেদনের বক্তব্য ভুল না ঠিক, তা কী ভাবে বোঝা যাবে? বিচারের সময় এই আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়নি। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফজাতে পাঠিয়েছেন বিচারক।