সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই হবে বাবুলের শপথ। সোমবার তাঁর শপথেরপ্রস্তুতি নেবে বিধানসভার সচিবালয়। তবে মঙ্গল ও বুধবার ইদের জন্য ছুটি রয়েছে বিধানসভায়। তার পরেই শপথের সম্ভাবনা।১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় পেলেও, গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরেশপথ নিতে পারেননি বাবুল।
স্পিকারকে এড়িয়ে বাবুলের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিলেন রাজ্যপাল। ফাইল চিত্র
অবশেষে বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে এ কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ দ্বারা আমার উপর থাকা ক্ষমতার ভিত্তিতে, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিলামপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তরফে১৬১-বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত শ্রী বাবুল সুপ্রিয়কে শপথগ্রহণ করানোর’। শুক্রবার টুইট করে তাঁর শপথ আটকে থাকা নিয়েউষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। শনিবার সেই অনুমতি মিলল রাজভবনের তরফে। এর পর বাবুল টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়ে ধনখড়কে। তবে স্পিকারকে কাছে শপথ নিতে না পারার জন্য ‘দুঃখ’ পেয়েছেন বলেও লিখেছেন বাবুল।
সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই হবে বাবুলের শপথ। সোমবার তাঁর শপথেরপ্রস্তুতি নেবে বিধানসভার সচিবালয়। তবে মঙ্গল ও বুধবার ইদের জন্য ছুটি রয়েছে বিধানসভায়। তার পরেই শপথের সম্ভাবনা।১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় পেলেও, গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরেশপথ নিতে পারেননি বাবুল।
সাধারণ ভাবে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোর যে ক্ষমতা রাজ্যপালরা বিধানসভার স্পিকারদের দিয়ে রাখেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল তা নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীকে শপথগ্রহণের অনুমতি রাজ্যপালের কাছ থেকেই নিতে হচ্ছে। এমনকি রাজ্যপাল চাইলে বিধায়ককে নিজেই শপথগ্রহণ করাতে পারেন। বা রাজ্যপালে মনোনীত কোনও ব্যক্তি শপথগ্রহণ করাতে পারেন। গত বছর ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথগ্রহণ করাতে বিধানসভায় এসেছিলেন রাজ্যপাল। ৭ অক্টোবর হয়েছিল সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই কারণে বাবুলের শপথগ্রহণের অনুমতির জন্য রাজভবনে চিঠি পাঠায় পরিষদীয় দফতর। ঠিক হয় সেই অনুমতি পেলে পরিষদীয় দফতর তা বিধানসভার সচিবালয়কে জানাবে। সেই মতো শপথের আয়োজন করবে বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু, রাজ্যপালের চেয়ে পাঠানোরাজ্যের বেশকিছু বিল ও প্রস্তাবের আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি শপথগ্রহণের অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছিল। কিন্তু শনিবার অচমকাই শপথের অনুমতি দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল।
শপথগ্রহণের অনুমতি পর টুইট করে বাবুল লেখেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ মহাশয়। আপনকে কৃতজ্ঞতা ও সম্মানজ্ঞাপন করেই বলি, আমি ডেপুটি স্পিকারের সম্মান রেখেই বলছি, আমি দুঃখিত যে আমি মাননীয় স্পিকারের কাছে থেকে শপথ নেওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হব।’