(বাঁ দিকে) সি ভি আনন্দ বোস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবারই কলকাতায় ফিরে আসছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সব ঠিক থাকলেও সন্ধ্যা নাগাদ তিনি কলকাতায় পৌঁছবেন। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে দার্জিলিং সফররত বোস সন্ধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেবেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ এবং রাত ৮টার মধ্যেই রাজভবনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ধর্না থেকে উঠবেন না বলে গত শুক্রবার ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার চতুর্থ দিনে পড়েছে ধর্না অবস্থান। তবে রবিবারই অভিষেকের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ হবে কি না, তা নিয়ে কোনও কিছুই জানা যায়নি।
শনিবার থেকেই দার্জিলিঙে রয়েছেন বোস। সন্ধ্যায় তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। রবিবার তিনি বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান তিস্তা বাজারে। সেখানেই তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সূত্রের খবর, সঙ্গীদের কাছে বিশ্রামের প্রয়োজন বলে জানান। সঙ্গে সঙ্গেই দার্জিলিঙের রাজভবনে ফিরে যান। এর পরেই কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত হয়। তড়িঘড়ি শিলিগুড়ির পথে রওনা দেয় বোসের কনভয়। সমতলে কিছুটা সময় কাটানোর পরে বাগডোগরা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে বিমানে ওঠার কথা।
তবে কেন রাজ্যপাল আচমকা কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা রাজভবনের তরফে জানানো হয়নি। অসুস্থ বোধ করার জন্য কলকাতায় তড়িঘড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত না কি এই পদক্ষেপের আড়ালে অভিষেকের ধর্নার বিষয়টি রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
১০০ দিনের কাজে বঞ্চিতদের থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৫০ লক্ষ আবেদনপত্র বোসের কাছে জমা দিতে চায় তৃণমূল। রাজ্যপালের কলকাতা ফেরার খবরে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রবিবারেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল? তবে তেমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে এমন প্রশ্নও রয়েছে যে, পাহাড়ি এলাকায় থাকার জন্য বোস অসুস্থ বোধ করেছেন না কি অন্য কিছু, তা-ও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে দার্জিলিং রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অভিষেককে আগামীর নেতা বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের ধর্না নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণ জারি রয়েছে বিজেপির। এমন আবহে বোসের কলকাতায় তড়িঘড়ি প্রত্যাবর্তন নতুন জল্পনার জন্য দিল। অনেকে এটাও মনে করছেন বোস কলকাতায় ফিরলে রাজভবনের সঙ্গে নতুন সংঘাতের আবহও তৈরি হতে পারে। তৃণমূল তথা অভিষেক এক ভাবে রাজ্যপালকে ‘জমিদার’ বলে কটাক্ষ করে চলেছেন। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালও জবাব দিয়েছেন। আবার শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, রাজ্যপালের পথ আটকে ধর্নায় বসা হয়েছে কেন?