প্রতীকী চিত্র।
প্রেমিকের আবদার নগ্ন ছবি। অথচ তাতে নারাজ নাবালিকা প্রেমিকা। এ দিকে ছবি না দিলে কথাও বন্ধ। বন্ধ ফোন। মেসেজও। শেষে কোনওপথই বেছে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হল প্রেমিকা।
মৃত বর্ণা বৈদ্যের বয়স ১৪। ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট থানার অন্তর্গত দুরামারি এলাকার বাসিন্দা সে। পুলিশ জানিয়েছে, ধূপগুড়িরই ডাউকিমারির যুবক অভিজিৎ বিশ্বাস এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বর্ণা। মৃতের বাবা বাসুদেব বৈদ্য বলেছেন, ‘‘মেয়ের মোবাইল দেখেই আত্মহত্যার কারণ জানতে পারি। আমি চাই ছেলেটার ফাঁসি হোক।’’
পুলিশ বর্ণার মোবাইল দেখেই দু’জনের কথাবার্তা বিষয়ে জানতে পারে। তারা জানিয়েছে, কিছুদিন ধরেই ‘‘অভিজিৎ তার নাবালিকা প্রেমিকার কাছে স্নান করার সময়ের ছবি পাঠাতে বলে। ভিডিয়ো কল করতেও জোর করে। তাতে রাজি হয়নি বর্ণা। এরপর বর্ণার ওপর চাপ সৃষ্টি করে অভিজিৎ। এমনকি, তাদের গোপন কথাবার্তা ও গোপনীয় ছবির ভিডিয়ো সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। তাতেই তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি বর্ণার পরিবারের সদস্যদের।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বরুণ সরকার বলেন, ‘‘দুঃখজনক ঘটনা। যে ছেলেটির জন্য এমন হয়েছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এটাকে প্রেম বলে না। আগেও ছেলেটির বাড়িতে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। আমরা ওর চরম শাস্তি চাই। দরকার হলে গ্ৰামবাসীরা আন্দোলনে নামতেও পিছপা হবো না।’’
রবিবার নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার পরিবারের তরফে বানারহাট থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বানারহাট থানার আইসি সমীর দেওসা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে।