ছবি পিটিআই।
বিবেকানন্দের জন্মদিনেও বাংলার রাজনীতি জুড়ে রইল চাপানউতর এবং পরস্পরের প্রতি বিষোদগার। মঙ্গলবার সকালে বিবেকানন্দের কলকাতার বাসভবনে মাল্যদান করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে যে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছিল, তা বিকেলে হাজরার মোড়ে তৃণমূলের পথসভাতেও বহাল রইল।
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত গোল পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় বার বার আজকের দিনে রাজনৈতিক কথা বলবেন না বলেও নিশানা করেন গেরুয়া শিবিরকে। মিছিলের নিরিখে বিরোধী দলকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে তৃণমূল, এমনটাও দাবি করলেন তিনি।
এ দিন সকালে শ্যামবাজার থেকে সিমলা ষ্ট্রিট অবধি মিছিলে হাঁটেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। নাম না করে জনসংখ্যায় বিজেপির মিছিলকে তৃণমূল টেক্কা দিয়েছে বলেই দাবি করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘একদিনের নোটিসে মিছিল করেছি। মানুষের বিশ্বাস, উচ্চাশা ও আকাঙ্ক্ষাকে তুলনা করলে অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল ১০-০ গোলে হেরে যাবে।’’
আরও পড়ুন: আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল, পাল্টা দাবি শোভনের
রাজনৈতিক আক্রমণের পাশাপাশি, গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের মতোই এ রাজ্যে নেতাজি ও স্বামীজির মূর্তি গড়ার দাবি করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘৩,৫০০ কোটি টাকায় তৈরি হল সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি। আমরা প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু, কেন কলকাতার বুকে ৩ হাজার কোটি খরচ করে স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তি তৈরি হবে না?’’
আরও পড়ুন: বাংলার ভোটে চোখ রেখেই কি স্বামীজিকে নিয়ে এত ধুমধাম বিজেপি-র
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এলেন। যিনি স্বামী বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করতে পারেননি। পাশে বসে হাততালি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে মাইক কেড়ে বলা উচিত ছিল, আগে নামটা ঠিক করে উচ্চারণ করে দেখাও।’’ বিজেপি-কে বাঙালিবিরোধী আখ্যা দিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমরা এত নীচে নামিনি স্বামীজির ছবি ব্যবহার করে বিজেপির প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। ওরা ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙে। ওদের নেতা বলছে বাংলায় বাঙালিদের চেয়ে অবাঙালিদের অবদান বেশি। সহজপাঠ লিখেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এদের ক্ষমা করবে না মানুষ। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জানে না।’’