পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে ল্যান্ডফল হলেও তার প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের উপকূল এলাকায়। — ফাইল ছবি।
বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা। ইতিমধ্যেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে ল্যান্ডফল হলেও তার প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের উপকূল এলাকায়। তেমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। পূর্বাভাস বলছে, মোকার ল্যান্ডফলের পরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা, অর্থাৎ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, মোকা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজ্যের উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ কমবে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মোকার প্রভাব উপকূলবর্তী এলাকায় কতটা পড়েছে, তা বোঝা যাবে ল্যান্ডফলের পরেই। তবে প্রশাসন আগেভাগেই তৈরি।
মোকার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে দিঘার সমুদ্র উত্তাল। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতেও। রবি এবং সোমবার দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রশাসনের ঘোষণা, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। মোকার প্রভাবে সমুদ্র উপকূলে বাতাসের গতিবেগও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই দু’দিন সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারা মাইকিং করে সতর্ক করছে স্থানীয়দের।