Digital Frauds

‘প্রিয় বোনেরা’... তাঁরই ছবি সম্বলিত পোস্টে ঋণের ফাঁদ সমাজমাধ্যমে! তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ মন্ত্রী সুকান্ত

মহিলাদের ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব। এমন ভাবে পোস্ট করা হচ্ছে যে, দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন। ঘটনা জেনেই তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৯
Share:

সুকান্ত মজুমদারের ছবি দেওয়া এমনই পোস্ট ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ডিজিটাল জালিয়াতি রুখতে লাগাতার সতর্কবার্তা প্রচার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সরকারেরই মন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে জালিয়াতির ফাঁদ সমাজমাধ্যমে! ভারত সরকারের শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ছবি সম্বলিত পোস্টে মহিলাদের ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব। এমন ভাবে পোস্ট করা হচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন। ঘটনা জেনেই তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে যে পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা আসলে একটি অ্যাপে ঢোকার ‘গেটওয়ে’। পোস্টে সুকান্তের ছবি। কোথাও ছবির পাশে, কোথাও ছবির নীচে লেখা— ‘প্রিয় বোনেরা সুদ ছাড়াই ৪০,০০০ টাকা পাবেন। প্রতি মাসে মাত্র ৫৫৯ টাকা।’ পোস্টের নকশা এমন যে, দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধার বিষয়ে মহিলাদের সচেতন করছেন। পোস্টটিতে ‘ক্লিক বাট্‌ন’ও রয়েছে। তাতে লেখা, ‘এ ভাবে আবেদন করুন’। ওই পোস্টে ক্লিক করলেই ঢুকে যেতে হচ্ছে একটি অ্যাপে। সেই অ্যাপ ‘ইনস্টল’ করে আবেদন করলেই ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানানো হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যাপ ইনস্টল করানোই হল ফাঁদ। অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য চুরি করে গায়েব করা হতে পারে টাকা। অথবা ঋণ দেওয়ার নাম করে অন্য কোনও আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হতে পারে। পোস্টটি সুকান্তের নজরে আসে রবিবার। দ্রুত নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তলকে চিঠি দেন সুকান্ত। অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত করতে এবং পদক্ষেপ করতে পুলিশ সুপারকে লেখা চিঠিতে অনুরোধ করেন সুকান্ত। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার ছবি অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হবে বলে প্রচার চলছে বলে দেখতে পেলাম। পরে দেখলাম, শুধু আমার ছবি নয়। আরও অনেক মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে এ সব করা হচ্ছে। পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছি। আশা করছি জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement