গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেন পিকে। —ফাইল ছবি।
আদালত জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ধৃত প্রশান্ত কিশোর (পিকে) জামিনের বন্ডে সই করতে অস্বীকার করায় সোমবার বিকেলে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল পটনার জেলে।
বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে পটনায় গান্ধী ময়দানে ‘আমরণ’ অনশনে বসেছিলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা জন সুরাজ পার্টির নেতা পিকে। তাঁকে সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই সেখান থেকে তুলে যায় পুলিশ। আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতারের পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পটনা এমস হাসপাতালে।
বেলা ১২টার পর পটনা সিভিল কোর্টে পিকে-কে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বেঁকে বসেন স্বয়ং পিকে। তিনি জামিনে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বন্ডে সই করতে অস্বীকার করায় তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। পটনা পুলিশ জানিয়েছে, অশান্তি বাধানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের হওয়ায় পিকে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দিকে, পিকে শিবিরের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। তাই জামিনের বন্ডে সই করতে তিনি অস্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিপিএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অশান্তি চলছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্যটিতে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আন্দোলনে নেমেছেন। সেই আন্দোলনে প্রথম থেকেই রয়েছেন পিকে। যদিও প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ এই আন্দোলনে রাজনীতির প্রবেশ পছন্দ করছেন না বলে জানিয়েছেন। রবিবার ৭০তম বিপিএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গান্ধী ময়দানে জমায়েত করেছিলেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। পিকে-ও সেখানে ছিলেন। রাতে সেই জমায়েত মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির দিকে এগোতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়। তার পর তিনি অনশনে বসেছিলেন।