ছবি পিটিআই।
মোটের উপর রাজ্যের চার পুর নিগমের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শনিবার বেলাশেষে এমনটাই জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, এই চার পুরনিগমের ভোটে গুলি চলেছে, ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রার্থীদের হেনস্থা করা হয়েছে। ভুয়ো ভোটার ধরার পর বিধাননগরে আনন্দবাজার অনলাইনের সাংবাদিকেরা আক্রান্ত হয়েছেন। কমিশনের দাবি, এ সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভোট মোটের উপর শান্তিতেই হয়েছে।
শনিবার আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুর নিগমে ভোটগ্রহণ হয়। কমিশনের মতে, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য পুলিশের দরাজ প্রশংসা করে কমিশন। বিশেষ করে বিধাননগর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খুশি ব্যক্ত করেছেন কমিশনার। তিনি বলেন, "সল্টলেকে পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। নিজে ঘুরে এসেছি। কোনও ঘটনা ঘটলেই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে।"
সূত্রের খবর, এই ভোটের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ফোন করে অভিনন্দন জানান কমিশনার। অথচ বিরোধী সব প্রার্থীই পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই ভোট লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধাননগরের এক বামপ্রার্থী।
শনিবার সকাল থেকেই আসানসোলে অশান্তির খবর সামনে আসে। বিরোধীদের হেনস্থা করা, আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। বেলার দিকে সেখানে গুলিও চলে। সেখানে এক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর। এ ছাড়া ইভিএম মেশিন নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কমিশনের জানিয়েছে, আসানসোলের দু'টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাঁচটি ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাতে রেকর্ড করা তথ্য ঠিক রয়েছে। তাই আর পুনর্নির্বাচন হবে না। বিধাননগরে ছাপ্পা ভোট, বুথ দখলের অভিযোগ করেন বিরোধীরা।
অন্য দিকে, গত বারের থেকে এ বার কম ভোট পড়েছে ওই চার পুর নিগমে। এ বার চার পুর নিগমের গর ভোটের হার ৭১ শতাংশ। গত বার যা ছিল ৭৭ শতাংশ।