সকাল থেকেই ভুয়ো ভোটের অভিযোগ আসছিল বিধাননগর পুরসভার ওই বুথ থেকে। খবর পেয়ে এএইচ ব্লকের বুথে পৌঁছেই হাতেনাতে ভুয়ো ভোটারকে ধরলেন আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদক সারমিন বেগম। যদিও সে সময় ‘রিপোর্টার’ পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির বাধা এবং হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
বুথে পৌঁছে আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদক ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানো এক মহিলাকে প্রশ্ন করেন, ‘‘দিদি ভোট কেমন চলছে।’’ তিনি উত্তর দেন ‘‘ভাল’’। এর পরে ‘কোথা থেকে আসছেন’ প্রশ্ন করায় জবাব আসে ‘মধ্যমগ্রাম’। কিন্তু মধ্যমগ্রাম থেকে ভোট দিতে বিধাননগরে কেন? তাঁর কাছে কি ভোটার কার্ড রয়েছে? প্রশ্ন করতেই লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ওই মহিলা ভুয়ো ভোটার।
ঠিক সে সময়ই এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে বাধা দেন। দূরত্ববিধি না মেনে কাছে এসে প্রশ্ন ছুড়ে দেন— ‘আপনি কে আছেন?’ আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পরে নিজেকে ‘রিপোর্টার’ দাবি করে ওই ব্যক্তি হুমকি দেন, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢোকা চলবে না।
কিন্তু ওই ব্যক্তি সাংবাদিক হয়েও কেন বুথের সামনে চলে এসেছেন, তার জবাব দেননি। ততক্ষণে ‘মধ্যমগ্রামবাসী’ ওই মহিলা দ্রুতপায়ে বুথের চৌহদ্দি ছেড়ে রাস্তায় চলে এসেছেন। তাঁর পিছু ধাওয়া করে বার বার ‘তিনি ওই ওয়ার্ডের ভোটার কি না’ প্রশ্ন করা হলেও জবাব মেলেনি। ভোট না দিয়ে তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন কেন, সে প্রশ্নেরও তিনি নিরুত্তর। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে ওই এলাকাতেই একদল দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে হামলা চালায় সারমিন এবং চিত্র-সাংবাদিক স্নেহাশিস প্রামাণিকের উপর।