(বাঁ দিক থেকে) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র ।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যাঁর যাঁর নিজস্ব ক্ষোভ, অভিযোগ রয়েছে। তা প্রকাশ করার নির্দিষ্ট জায়গাও রয়েছে। তিনি এখন আর বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নন। তাই এই বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে আইনত কে ঠিক? রাজ্য না রাজ্যপাল? সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নির্দেশ জারি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। আর তা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে এর আগে কিছু বলা না হলেও বিষয়টি নিয়ে সোমবার মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণও করেছেন তিনি। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল আইন মানছেন না বলেও অভিযোগ ব্রাত্যের। কিন্তু আইন কি সত্যিই মানা হচ্ছে না? জবাবে প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল বলেন, ‘‘আমি তো এখন আর আইনের বিচার করতে বসিনি। যাঁর যাঁর নিজস্ব ক্ষোভ, অভিযোগ রয়েছে— সেই ক্ষোভ, অভিযোগ প্রকাশ করার নির্দিষ্ট জায়গায়ও রয়েছে। আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’’
প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি শুভ্রকমল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরও অস্থায়ী উপাচার্য। আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হয়ে সোমবার শুভ্রকমল জানিয়েছেন, দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিই তিনি সমান ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি নিজে উপস্থিত থেকে কাজ করে যাবেন। তবে গণ্ডির বাইরে গিয়ে তিনি কোনও কাজ করবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে যে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে সেটাই করব। গণ্ডির বাইরে গিয়ে কিছু করব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তার পর আগামী পরিকল্পনা করব। দু’জায়গায় গিয়েই কাজ করব।’’
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে মদ্যপান করার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল, তা-ও নস্যাৎ করে দিয়েছেন শুভ্রকমল। তাঁর স্পষ্ট জবাব, ‘‘সব অভিযোগের জবাব আমি দেব না। শুধু এটুকু বলতে পারি যে আমি মদ্যপান করি না।’’
প্রসঙ্গত, আড়াই মাস ধরে উপাচার্যহীন থাকার পর নতুন উপাচার্য পেয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্সির নতুন অর্ন্তবর্তিকালীন উপাচার্য হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল। এর আগে প্রেসিডেন্সির উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অনুরাধা লোহিয়া। গত ১৩ জুন তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। তার পর থেকে সেই পদ ফাঁকাই ছিল। প্রায় আড়াই মাস পরে অর্ন্তবর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন শুভ্রকমল।