Forest Department

পাখি বাঁচাতে সচেতনতার পাঠ বন দফতরের

রাজ্য বন দফতর নিয়ন্ত্রিত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৩৪টি পার্কে সমীক্ষা চালিয়ে ৮৯ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০১:৫৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং প্রজাপতি রয়েছে এ শহরেই। রাজ্য বন দফতরের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। এ বার তাই তাদের সংরক্ষণে সচেতনতা প্রচারের কাজও করছে দফতর।

Advertisement

রাজ্য বন দফতর নিয়ন্ত্রিত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৩৪টি পার্কে সমীক্ষা চালিয়ে ৮৯ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যে পরিযায়ী পাখির প্রজাতিও রয়েছে বলে বন দফতরের দাবি। পার্কগুলিতে মিলেছে রকমারি প্রজাপতিও। মোট ৫৪ রকম প্রজাপতির খোঁজ মিলেছে সেখানে। দফতর সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব পার্কেই দেখা গিয়েছে দোয়েল, দামা, ছাতারে, বামনি শালিক, দুর্গা টুনটুনি, বুলবুল, সাদাগলা মাছরাঙা-সহ বিভিন্ন প্রজাতি। ইডেন গার্ডেন্স এবং বিধাননগরের বনবিতানে এ বছর সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখি তাইগা ফ্লাইক্যাচারের দেখা মিলেছে। এ ছাড়াও বনবিতান পার্কেই পরিযায়ী নর্দার্ন পিনটেল এবং নর্দার্ন শোভেলার দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা।

সমীক্ষায় ধরা পড়া ৮৯ প্রজাতির পাখি এবং ৫৪ রকমের প্রজাপতির ছবি সম্বলিত দু’টি আলাদা বই বন দফতর প্রকাশ করেছে। দফতরের পার্কগুলিতে এই দু’টি বই পাওয়া যাবে বলেও কর্তারা জানিয়েছেন। পক্ষিপ্রেমী সুদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পরিযায়ী পাখি ছাড়া বন দফতর অন্য যে সব পাখির উল্লেখ করেছে, সেগুলি শহরেই দেখা যায়। সবার আগে জানা দরকার, পাখির সংখ্যা কতটা বাড়ল বা কমল। পাখি সংরক্ষণের একটি অংশ হল এই সচেতনতা। পাশাপাশি শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় পাখি ও প্রজাপতি ধরে রাখতে ওদের জন্য আরও বাসযোগ্য জায়গা তৈরির প্রয়োজন।’’ প্রজাপতি গবেষক সারিকা বৈদ্য বলেন, ‘‘শহর অঞ্চলে ১৫০ রকম প্রজাপতি রয়েছে। তার মধ্যে ১০৫টি প্রজাতি ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত আছে। প্রজাপতির সংরক্ষণে পার্ক তৈরি করা জরুরি। অনেক জায়গায় অবশ্য তা হচ্ছে।’’

Advertisement

বন দফতরের (আর্বান ফরেস্ট্রি) বিভাগের উপ মুখ্য বনপাল রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘পার্ক বা ফাঁকা জায়গায় প্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা এবং প্রাণীদের সঙ্গে পরিচিতির প্রয়োজন। তাই দফতর সচেতনতার মাধ্যমে সংরক্ষণের কর্মসূচি করতে চাইছে।’’ মুখ্য বনপাল রাজু দাস বলেন, ‘‘কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘনবসতির মধ্যে যে পার্ক তৈরি হয়েছে, সেখানে পাখি এবং প্রজাপতির বিচরণ জানতেই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য, বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় পাখি ও প্রজাপতির সংরক্ষণ এবং নাগরিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো।’’ তবে পাখি-প্রজাপতির সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে, তার গণনা দফতর করেনি বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। পাখি ও প্রজাপতি ছাড়া শহরের অন্য প্রাণী নিয়েও সমীক্ষা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement