জয়ের শংসাপত্র হাতে তৃণমূলের প্রার্থীরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঁচ জন রাজ্যসভায় নির্বাচিত হলেন। তৃণমূলের চার এবং বিজেপির এক জন। তৃণমূলের যে চার জন সংসদের উচ্চ কক্ষে গেলেন তাঁরা হলেন, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর এবং নাদিমুল হক। বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যসভায় গেলেন শমীক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার জয়ীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন রাজ্যসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার।
রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বিকেল তিনটের সময় মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের চার এবং বিজেপির এক প্রার্থী বিধানসভায় আসেন। প্রথমে তৃণমূলের চার জন বিধানসভার সচিব তথা রাজ্যসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের ঘরে যান। সেখানেই তাঁদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। শংসাপত্র হাতে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা জানান, বিজেপি যে ভাবে দেশের মানুষের উপর উৎপীড়ণ চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করাই হবে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।
জয়ের শংসাপত্র হাতে নিচ্ছেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
এর কিছু পরেই রিটার্নিং অফিসারের ঘরে ঢোকেন বিজেপি প্রার্থী শমীক। তাঁর হাতেও জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পেল বিজেপি। এর আগে রাজ্য থেকে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি। রিটার্নিং অফিসারের ঘর থেকে বেরিয়ে শমীক বলেন, “আমি রাজ্যের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাদের দলকে এতটা শক্তি দিয়েছে যে, এ রাজ্য থেকে বিজেপি নিজেদের রাজ্যসভার সাংসদ পাঠাতে পারছে। এ ছাড়াও আমার দল ও দলের বিধায়কদের ধন্যবাদ জানাব, আমাকে মনোনীত করা ও সমর্থন জানানোর জন্য।”
তৃণমূল প্রার্থীরা যখন শংসাপত্র গ্রহণ করতে যান তখন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। শমীকের সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা এবং বিধায়ক বিজয় বর্মণ।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে নতুন সাংসদদের মেয়াদ শুরু হবে। এঁদের মধ্যে নাদিমুল পর পর তিন বার তৃণমূলের প্রতীকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। সুস্মিতা দ্বিতীয় বার তৃণমূলের প্রতীকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সে বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৩-এর অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন সুস্মিতা। সাংবাদিক সাগরিকা এবং মমতাবালা এই প্রথম বার রাজ্যসভার সাংসদ হলেন।