পূর্বস্থলীর সভায দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি
মেদিনীপুর শহরে অমিত শাহর হাত থেকে পতাকা নেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির হয়ে প্রথম সভা করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পরে কাঁথির সমাবেশে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি আর দিলীপ ঘোষ অখণ্ড মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। দু'জনে মিলে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের সব আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত করবেন। সেই বক্তব্যের পর রবিবার কাঁথির শুভেন্দু দিলীপের গোপীবল্লভপুরে।
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরেই আদি বাড়ি দিলীপের। রবিবার যেখানে সভা সেখান থেকে ৮-৯ কিলোমিটার দূরে কুলিয়ান গ্রামেই জন্ম এবং বড় হওয়া দিলীপের। ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রচারক হিসেবে বাড়ি ছেড়েছিলেন দিলীপ। সেই থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলে এখন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। শৈশব-কৈশোরের সেই গোপীবল্লভপুরেই রবিবারের সভা। 'দেশের বাড়ি'-তে বৃদ্ধা মা ও ছোট ভাইয়ের সংসার আছে। সভা শেষে যাবেন না কি মায়ের সঙ্গে দেখা করতে? দিলীপ জানালেন, "ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। কর্মসূচির চাপ। বছরে দু'বার করে যাই। ঠিক করেছি মকর সংক্রান্তি কেটে গেলে মাকে প্রণাম করতে যাব।"
অন্য দিকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রবিবার দ্বিতীয় বার ঝাড়গ্রাম জেলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু। ক'দিন আগেই সাংগঠনিক বৈঠক করতে জেলায় আসার পথে তাঁকে 'গো ব্যাক' স্লোগান শুনতে হয়েছে। লোধাশুলির কাছে কালো পতাকাও দেখানো হয়। রবিবারের সভা অবশ্য ঝাড়গ্রাম শহর থেকে অনেকটাই দূরে গোপীবল্লভপুরের ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়ায়।
প্রাতর্ভ্রমণে বার হয়ে রঘুনাথপুরের মডেল রাস্তার কাছে চা চক্র কর্মসূচিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি-সহ অন্যান্য নেতারা। নিজস্ব চিত্র
রবিবার শুভেন্দু সরাসরি গোপীবল্লভপুরে এলেও শনিবার রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে যান দিলীপ। সকালে দলের জেলা অফিসও যান। প্রাতর্ভ্রমণে বার হয়ে রঘুনাথপুরের মডেল রাস্তার কাছে চা চক্র কর্মসূচিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি-সহ অন্যান্য নেতারা। সেখানে দিলীপের বক্তব্যে শোনা যায় কাঁথিতে শুভেন্দুর বলা কথার অনুরণন। দিলীপ বলেন, "অবিভক্ত মেদিনীপুরের সব আসনেই বিজেপি জিতবে। যেটুকু অনিশ্চয়তা ছিল তা শুভেন্দুদা আসার পর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।" শুভেন্দুর উপস্থিততে রবিবারের সমাবেশে অন্য রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা, কর্মী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: অর্জুনের ভাইপোকে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার ঘিরে জট
আরও পড়ুন: বিজেপি-তে বেচারামের ‘ঘরের লোক’, আত্মীয় বলে মানতে নারাজ হরিপালের বিধায়ক