ED

‘অর্থনীতি ভাঙা’র চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল

গার্ডেনরিচে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের দিনই রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে প্রথমে অভিযোগ করেন ববি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১২
Share:

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে একের পর এক সিবিআই ও ইডি-র হানার পিছনে বাংলা বিরোধী চক্রান্ত কাজ করছে বলে অভিযোগ করলেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের মতে, রাজ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বাধা দিতে পরিকল্পিত

Advertisement

ভাবেই আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সিবিআই বা ইডি-র মতো সংস্থার কাজ নিয়ে শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা কেন আপত্তি তুলছেন, এই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সিপিএম।

গার্ডেনরিচে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের দিনই রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে প্রথমে অভিযোগ করেন ববি। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘একের পর এক ইডি হানার পিছনে বাংলার অর্থনীতি ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তাঁদের এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি অবশ্য আরও বলেন, ‘‘যেখানে অন্যায় হচ্ছে সেখানে ব্যবস্থা হোক।’’ এই মত তাঁর ব্যক্তিগত বলেই উল্লেখ করেছিলেন ববি।

Advertisement

তবে এ বিষয়ে ববির পাশেই দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। একের পর এক জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অভিযান’ সম্পর্কে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাড়াও পাওয়া গিয়েছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেই কাজ এগোচ্ছে দ্রুত। তাতে বাধা দিতেই এই ধরনের হানা- তল্লাশি চলছে বলে মনে হচ্ছে।’’

ববির এ দিনের মন্তব্য নিয়ে তাঁকেই বিঁধেছেন বিরোধীরা। বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীর বাড়িতে থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে। তাতে উনি এত চিন্তিত কেন? ওঁর কি তাতে অংশ আছে?’’ হুমকির সুরে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘ইডি এবং সিবিআই আরও সক্রিয় হবে। তাতেই ওঁরা ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের যে টাকা লুট হয়েছে, তা উদ্ধার করা হবেই।’’ কাঁথিতে এ দিন বিজেপির এক সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, ‘‘তোলা-মূলের যাঁর বাড়িতে ইডি যাবে, তাঁর বাড়িতেই কোটি টাকা পাবে।’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও ববিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর কাছে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাতে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মাথায় ভাঁজ কেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘চার দিকে টাকা উড়ে বেড়াচ্ছে। তৃণমূলে যত বড় নেতা, তত বড় চোর!’’

ববি অবশ্য বিরোধীদের ইঙ্গিত খারিজ করে বলেন, ‘‘এ তো পাগলের মতো কথা! গার্ডেনরিচ এলাকায় যত ব্যবসায়ী রয়েছে, আমি কি তাঁদের সবার ঠিকা নিয়ে রেখেছি?’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে সকলের কি পরিচয় থাকে? আমি ছাড়াও তো প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী আরও অনেকে আছেন। তাঁরাও কি পরিচিত?’’ উল্লেখ্য, ববির আগে এই পরিবহণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement