—ফাইল চিত্র।
আধার কার্ড সংশোধনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত আধার কেন্দ্র তৈরির অনুমোদন দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউআইডিএআই। রাজ্যের সীমান্ত-জেলায় স্থায়ী আধার সেবা কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনাতেও সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির পরে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সিএএ তৈরির পর থেকে প্রায় সব জেলার বাসিন্দারাই ভোটার কার্ড সংশোধনের পাশাপাশি রাতভর লাইন দিয়ে আধার কার্ড সংশোধন, পরিমার্জন বা নতুন কার্ড করাচ্ছেন। বিশেষ করে সীমান্ত-জেলাগুলিতে এই কাজে ব্যস্ততার অন্ত নেই। মুষ্টিমেয় কয়েকটি আধার কেন্দ্র সেই বিপুল চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হয়রান হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের দুশ্চিন্তা, ক্ষোভ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আধারকেন্দ্রিক পরিচালনায় রাজ্য সরকার রেজিস্ট্রার হয়নি। ২০১৮ থেকে অনুমোদন নবীকরণ না-হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আধার কার্ডের কাজ করতে থাকা কমন সার্ভিস সেন্টারগুলিও বন্ধ। কিছু ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে এই কাজ হলেও বিপুল চাহিদা মেটাতে সেটা যথেষ্ট নয়।
এই পরিস্থিতিতে কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে নতুন করে জেলাভিত্তিক আধার কেন্দ্র তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে ইউআইডিএআই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, জেলাগুলিতে যে-সব আধার কেন্দ্র তৈরি হবে, তাতে ন্যূনতম দু’টি আধার-যন্ত্রের (কিট) সুবিধা থাকতে হবে। পরে চারটি যন্ত্রের সুবিধাযুক্ত হয়ে উঠতে হবে সেই সব কেন্দ্রকে। এক আধার-কর্তার কথায়, “চারটি কিটযুক্ত আধার কেন্দ্র না-হলে চাহিদা পূরণ করা মুশকিল। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথের ঘরে দিলীপ, চর্চা শহরে
কয়েকটি জেলায় স্থায়ী আধার সেবা কেন্দ্র (এএসকে) তৈরির ছাড়পত্রও দিয়েছে ইউআইডিএআই। পরিকল্পনা অনুযায়ী কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়ায় এএসকে তৈরি হবে। আটটি করে আধার-যন্ত্রের সুবিধা দেওয়া হবে সেখানে। শিলিগুড়িতে প্রস্তাবিত দু’টি এএসকে-তে ১৬টি আধার-যন্ত্রের সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউআইডিএআই। এক আধার-কর্তার দাবি, “জেলাগুলির সদরে আধার সেবা কেন্দ্র তৈরি হবে। জেলার সব বাসিন্দার পক্ষেই সেখানে গিয়ে পরিষেবা নিতে সুবিধা হবে।”
সল্টলেকে একটি এএসকে তৈরি করেছে ইউআইডিএআই। ধর্মতলার কাছাকাছি এলাকায় আরও একটি এএসকে তৈরির প্রস্তুতি চলছে। হাওড়াতেও এমন একটি পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাকি জেলাগুলিতেও এএসকে তৈরি হবে বলে ইউআইডিএআই সূত্রের খবর।