Kuntal Ghosh

‘গোয়ায় আমার হোটেল? ত্রিপুরায় চা বাগান? ঠিকানা দিন তো!’ কোর্টে ঢোকার মুখে আক্রমণাত্মক কুন্তল

শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। আদালত চত্বরে তিনি হোটেল, চা বাগানের মালিকানার কথা অস্বীকার করেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি তথ্য যাচাই করে কথা বলতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৯
Share:

শুক্রবার আদালত চত্বরে কুন্তল ঘোষ হোটেল, চা বাগানের মালিকানার কথা অস্বীকার করেন। — ফাইল ছবি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছিল, গোয়ায় হোটেল এবং ত্রিপুরায় চা বাগানও রয়েছে কুন্তল ঘোষের! শুক্রবার এই দাবি খারিজ করে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা। বললেন, ‘‘ঠিকানা দিন তো!’’

Advertisement

শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে। আদালত চত্বরে তিনি হোটেল, চা বাগানের মালিকানার কথা অস্বীকার করেন। অভিযোগের সুরেই সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যে কথাগুলো বলছেন, যাচাই করে বলুন। ত্রিপুরার চা বাগান, গোয়ার হোটেল— যে কথাগুলো বলছেন, দয়া করে তার ঠিকানা দিন।’’ এর পর তিনি জানান, তিনি কিছু বলতে চান।

কুন্তলকে জেরার সূত্র ধরে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আর এক তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি কুন্তলের দিকে আঙুল তুলেছেন। দাবি করেছেন, এই নিয়োগ দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ আসলে কুন্তলই। এই অভিযোগও শুক্রবার উড়িয়ে দিলেন কুন্তল। স্পষ্টই বললেন, ‘‘অপ্রাসঙ্গিক কথার উত্তর দেব না।’’ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার ৫৩ দিন পর কুন্তলকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও মুখ খুলেছেন কুন্তল। বলেছেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবারও আইনজীবীর মাধ্যমে এই কথাই জানিয়েছিলেন কুন্তল। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। আইনজীবীর সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনে জেলবন্দি কুন্তল বলেছেন, “দল ঠিকই করেছে।” নিজেকে দলের এক জন একনিষ্ঠ, সাধারণ কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে কুন্তল জানিয়েছেন, সব কিছুর নিষ্পত্তি হয়ে গেলে দল নিশ্চয়ই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন বলেও নিজের আইনজীবীকে জানিয়েছেন কুন্তল। কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি বার বার আদালতে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব তুলে ধরেছে। জানিয়েছে, কুন্তল রাজনৈতিক দিক থেকে ‘প্রভাবশালী’। তবে রাজ্যের শাসকদল তাঁকে ছেঁটে ফেলায় এই ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব থেকে কুন্তল মুক্ত হলেন বলে মনে করছেন তাঁর আইনজীবী। কুন্তলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেও তদন্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে ‘এক পয়সা’ও পায়নি বলে দাবি করেন কুন্তলের আইনজীবী।

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। ইডির জেরার মুখে পড়েন কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীও। তবে গ্রেফতারির সময়েও দলকে দুর্নীতির সঙ্গে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন কুন্তল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement