শনিবার পরিবেশবিদদের ‘অতি-সচেতনতা’কে কাঠগড়ায় তোলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
শনিবার বিকেলে রোয়িংয়ের অনুশীলন চলছিল রবীন্দ্র সরোবরে। তার মাঝেই ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। এর ফলে সাউথ পয়েন্টের দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তার পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না, এই প্রশ্ন ঘিরেই শুরু হয়েছে চাপানউতর। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের পাল্টা প্রশ্ন মেয়রকে, ক্লাবের দায় কেন পরিবেশবিদদের উপর চাপানো হচ্ছে?
কালবৈশাখীর দাপটে রবীন্দ্র সরোবরে দুই কিশোরের মর্মান্তিক পরিণতির কারণ হিসাবে শনিবার পরিবেশবিদদের ‘অতি-সচেতনতা’কে কাঠগড়ায় তোলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রবীন্দ্র সরোবরে যদি রেসকিউ বোট বা উদ্ধারকারী নৌকা থাকত, তা হলে এ ভাবে অকালে চলে যেতে হত না দুই কিশোরকে।’’ অন্য দিকে, ক্লাবের গাফিলতিতেই এমন ঘটেছে বলে পাল্টা দাবি পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের।
সুভাষ বলেন, ‘‘রেসকিউ বোট থাকা নিয়ে পরিবেশ আদালত কখনওই কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। মেয়র দাবি করছেন, পরিবেশ সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার জন্য কোনও ফলো বোট বা রেসকিউ বোট রাখা যায়নি। এই দাবি একেবারেই ভ্রান্ত। যেখানে এই ধরনের অনুশীলন হয়, সেখানে উদ্ধারকারী নৌকো বা বিশেষ ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।’’ সুভাষের আরও প্রশ্ন, ‘‘সাঁতার জানা প্রশিক্ষক কেন ছিল না? লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই বা কী করে এই ধরনের অনুশীলন চলত? এই প্রশ্নগুলো আমাদেরও মনে আসছে। নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে পরিবেশের দোহাই দেওয়া হচ্ছে।’’
শনিবার ঘটনার খবর পেয়ে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পরিবেশের দোহাই দিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে পিটিশন করে রেসকিউ বোট ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ সুভাষ দত্তের দাবি, ‘‘কোনও আদালত কোনও দিন রেসকিউ বোট সরানোর কথা বলেনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘তেলচালিত নৌকা নদী বা সমুদ্রেও চলে। তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। যাতে তেল বেরিয়ে তা সরোবরের ক্ষতি না করে। কিন্তু বোট রাখার উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই।’’