ফাইল ছবি।
কালবৈশাখীর দাপটে রবীন্দ্র সরোবরে দুই কিশোরের মর্মান্তিক পরিণতির কারণ কি পরিবেশবিদদের অতি-সচেতনতা? এই প্রশ্ন তুলছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি প্রশ্ন তুললেন, শনিবার রবীন্দ্র সরোবরে যদি রেসকিউ বোট বা উদ্ধারকারী নৌকা থাকত, তাহলে এ ভাবে অকালে চলে যেতে হত না দুই কিশোরকে। শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর দাপটে রবীন্দ্র সরোবরে ডুবে মৃত্যু হয় দুই কিশোরের। সাউথ পয়েন্টের নবম ও দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই প্রেক্ষিতেই গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। কলকাতার মেয়র তুলে দিয়েছেন আরও বড় প্রশ্ন। ঘটনার খবর পেয়ে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পরিবেশবিদরা বাস্তবটা বুঝতে পারছেন না। রেসকিউ বোট থাকলে এমনটা ঘটত না। একটা রেসকিউ বোট থাকা খুব দরকার। লেকে পেট্রল বোটের বিরুদ্ধে আমি-ও। কিন্তু বিপদ-আপদের জন্য একটা রেসকিউ বোট থাকা খুব দরকার ছিল। যেখানে রোয়িং প্রতিযোগিতা হয় সেখানে একটা রেসকিউ বোট নেই!’’ তাঁর অভিযোগ পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবর থেকে তৈলচালিত বোট তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই বোট না থাকাতেই শনিবার দুই কিশোরকে সময়মতো উদ্ধার করা যায়নি। ফিরহাদের কথায়, ‘‘পরিবেশের দোহাই দিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে পিটিশন করে রেসকিউ বোটটিকে ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওটা থাকলে দুটো জীবন বেঁচে যেত। বিপদ দেখলে রেসকিউ বোট দ্রুত ছুটে যেতে পারত।’’
ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশ সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার জন্য রবীন্দ্র সরোবরে ফলো বোট বা রেসকিউ বোট রাখা যায়নি। কারণ, সাধারণত এই ধরনের নৌকা তৈলচালিত হয়ে থাকে। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে রোয়িং করছেন যাঁরা, তাঁরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় অনুশীলন করতেন?