মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
কেন্দ্রের ‘কৃষক-বিরোধী’ সংশোধিত আইনকে পাশ কাটানোর জন্য রাজ্যে আলাদা আইন পাশ করানোর আর্জি জানিয়ে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল কংগ্রেস। একই মত সিপিএমেরও। এর আগে কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দল যৌথ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী সাংবিধানিক পথে কেন্দ্রের আইনের মোকাবিলার প্রস্তাব দেওয়ার পরে এ বার রাজ্যে পৃথক বিল বা আইনের দাবি উঠতে শুরু করল।
সংবিধানের ২৫৪(২) অনুচ্ছেদ মেনে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিকে আলাদা আইন তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন সনিয়া। কারণ, সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ধারায় কৃষি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় এক্তিয়ারের বিষয় নয়। সেই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রক্রিয়া এবং কৃষিপন্য বিপণনের কাঠামো ধাক্কা খাবে। ছোট কৃষক বিপর্যস্ত হবেন, কর্পোরেটের দাপট বাড়বে। কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তার প্রতিবাদের পাশাপাশি রাজ্যে সাংবিধানিক পথে পৃথক আইনের আর্জি জানিয়েছেন প্রদীপবাবু।
কংগ্রেসের প্রস্তাব সমর্থন করে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘বিশেষ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রের আইনের প্রতিবাদে সর্বদল প্রস্তাবের দাবি আমরা আগেই জানিয়েছি। তার সঙ্গেই আলাদা আইনও রাজ্যে হোক।’’ একই মত কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতাদেরও। তাঁরা আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভ এবং ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার সমস্ত বিষয়ই বিবেচনায় রেখেছে।’’