প্রতীকী চিত্র।
উদ্বেগ ঘনিয়েছিল বিদেশাগত দু’জনকে ঘিরে। সেই দু’টি ঘটনার মধ্যে আপাতত স্বস্তি মিলল একটিতে। ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিলেতফেরত অষ্টাদশী ছাত্রী ওমিক্রনে আক্রান্ত নন।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ওই তরুণীর লালারসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ডেল্টা প্লাস (এওয়াই.৪) ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তিনি। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণীর উপসর্গ খুবই সামান্য। সুস্থ আছেন। আজ, মঙ্গলবার তাঁর ছুটি দেওয়া হতে পারে। বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকবেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাতে ইংল্যান্ড থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন ওই ছাত্রী। সেখানে প্রথমে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। নিশ্চিত হতে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো হয়। তাতেও পজ়িটিভ। ১০ ডিসেম্বর সকালে স্বজনদের আবেদন অনুযায়ী তাঁকে ঢাকুরিয়ার হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের কেবিনে আইসোলেশনে রাখা হয়। সে-দিন বিকেলেই জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য নমুনা পাঠানো হয় কল্যাণীতে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, এক সময় রাজ্যে যত লোকের করোনা ধরা পড়েছিল, তাঁদের ৬০ শতাংশই এই ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত ছিলেন। এখন অবশ্য সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছে। অজয়বাবু বলেন, ‘‘বিলেতফেরত তরুণী ওই একই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তাই উদ্বেগ কিছুটা কাটল।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশ থেকে আসা করোনাক্রান্ত এক বৃদ্ধেরও লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এ দিন পর্যন্ত আসেনি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ সুস্থ আছেন বলেই স্বাস্থ্য শিবিরের খবর।