ঐতিহ্য রক্ষায় শিক্ষা দফতর। ফাইল চিত্র।
শিক্ষা ক্ষেত্রে এ বার ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগী হচ্ছে শিক্ষা দফতর। সব ঠিকঠাক চললে আগামী অর্থবর্ষ থেকেই রাজ্যের পুরনো স্কুলগুলির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সমীক্ষা শুরু করবে তারা। সম্প্রতি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, পুরনো স্কুলগুলির বিষয়ে জানতে সমীক্ষা শুরু করবে শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করে ফেলেছে শিক্ষা দফতর। দু’টি বিষয়ের নিরিখে এই সমীক্ষা চালানো হবে। একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল, অন্যটি প্রাচীন স্কুল। পাশাপাশি, রাজ্যের কোথায় কোথায় ১০০ বছরের পুরনো স্কুল রয়েছে, সেই বিষয়েও জানতে চাওয়া হবে সমীক্ষায়। বহু বছর ধরে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করে আসা স্কুলগুলিকে যেমন এই তালিকায় স্থান দেওয়া হবে, তেমনই খ্যাতনামা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্কুলও এই তালিকায় স্থান পাবে। এই সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হবে স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন? সমীক্ষা করে পুরনো স্কুলগুলির সংখ্যা জানার পাশাপাশি, স্কুলের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং স্কুল সম্প্রসারণ-সহ স্কুলের বর্তমান পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে কী কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা-ও জানতে চাওয়া হবে।
সমীক্ষা রিপোর্ট শিক্ষা দফতরে জমা পড়লে, স্কুলবাড়িগুলির সংরক্ষণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে আর্থিক অনুদান দেবে রাজ্য শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমীক্ষার পর স্থানীয় বিধায়ক তাঁর এলাকার কোনও স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু করতে চান, তা হলে তার জন্য তিনি বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে পারবেন। শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক স্কুল আছে যেগুলি ঐতিহ্যশালী এবং সমাজ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সমীক্ষার মাধ্যমে সেই সব স্কুলগুলিকে খুঁজে বার করাই আপাতত প্রাথমিক লক্ষ্য শিক্ষা দফতরের।