— প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু থেকে হরিদেবপুর হোমে নাবালিকা নির্যাতন। সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের সমস্ত বালিকা বিদ্যালয় এবং মেয়েদের হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর কথা ভাবছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে প্রাথমিক কাজ এগোচ্ছে।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে এক ছাত্র উপর থেকে নীচে পড়ে যান। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। র্যাগিং করে ওই পড়ুয়াকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন একাধিক পড়ুয়া এবং যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর দাবি জোরদার হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, সিসিটিভি থাকলে কি ওই পড়ুয়াকে এ ভাবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হত? সিসিটিভি বসানোর জন্য খরচ হিসাবে ৩৭ লক্ষ টাকারও বেশি মঞ্জুর করে শিক্ষা দফতর। সিসিটিভি বসানোর বরাত দেওয়া হয় ওয়েবলকে। সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। হরিদেবপুরের হোমে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেখানেও সিসিটিভি নজরদারির অভাবের কথা ওঠে। এরই মধ্যে শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্যের সমস্ত বালিকা বিদ্যালয় এবং মেয়েদের হস্টেলকে সিসিটিভির আওতায় আনার আলোচনা বিকাশ ভবনে। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি বা এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক কাজ শেষ হলে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রথমে যাদবপুর এবং তার পর হরিদেবপুরের হোম— দুই ঘটনাতেই সিসিটিভি নজরদারির অভাবের কথা তদন্তে উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত বালিকা বিদ্যালয় এবং মেয়েদের হস্টেলকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনার কথা ভাবতে শুরু করে শিক্ষা দফতর। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।