—প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই নগদ টাকা, গয়না বাজেয়াপ্ত করছে, তাঁদের সঙ্গতিহীন সম্পত্তি (ডিসপ্রপোরশানেট অব অ্যাসেট বা ডিএ)-র মামলায় বাঁধতে চাইছে ইডি। তাদের দাবি, দুর্নীতির মাথায় পৌঁছতে এই সব অভিযুক্তদের সম্পত্তির উৎস খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও সিবিআই এবং ইডি সূত্রের খবর।
সম্প্রতি বিধায়ক, কাউন্সিলরদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালায়। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি থেকে প্রশাসনের নিচু তলার অফিসারদের বদলির তালিকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি অনুযায়ী, আপাত ভাবে এই তালিকা নির্বাচনের আগে পুলিশ-প্রশাসনের রুটিন বদলির তালিকা বলে তাঁদের ধারণা। ওই তালিকা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই তালিকার সঙ্গে পুরসভার কোনও যোগ নেই। এমনকি মামুলি এক বিধায়কের কাছেও বদলির ওই তালিকা থাকার কথা নয়। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে ওই সব নথি কী ভাবে এল? তবে কি এ ক্ষেত্রেও কোনও বড়সড়োদুর্নীতি হয়েছে?
সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, সম্প্রতি যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তাঁদের প্রভাবশালী যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং গভীর বলে মনে করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও গয়না এবং নথি যাচাই করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে ২৮ লক্ষ নগদ টাকা ছাড়াও এবং প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি মূল্যের সোনার গয়না তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। সিবিআই কর্তাদের কথায়, বছর দশেক আগেও একজন সাধারণ ব্যবসায়ী ছিলেন জাফিকুল। তাঁর মতো বাকিদেরও সম্পত্তি গত দশ বছরে রকেটের গতিতে সম্পত্তি বেড়েছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি।
ইডির তদন্তকারীদের কথায়, জেল হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি শাসক দলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরেও একই চিত্র উঠে এসেছে। ইডির দাবি, সে ক্ষেত্রেও বছর দশেক আগে নিতান্তই ছাপোষা শান্তনু ও কুন্তলের সম্পত্তি রকেটের গতিতে বেড়ে গিয়েছিল। শুধু তাঁরাই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।