West Bengal Ration Distribution Case

‘ডাকু’ শঙ্করের ভাইকেও এ বার ডেকে পাঠাল ইডি, মঙ্গলেই সিজিওতে আসতে হবে, না হলে অন্য ব্যবস্থা

রেশন মামলায় মূল অভিযুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হত শঙ্করের সংস্থার মাধ্যমে। মলয় তার মধ্যে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫০
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

রেশন মামলার তদন্তে এ বার শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয় আঢ্যকেও তলব করল ইডি। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর। ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের যে সংস্থার হাত ঘুরে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা হত, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন মলয়ও। শুধু তা-ই নয়, ইডি জেনেছে, এই মলয়ের নিকট আত্মীয় এক জন মিলমালিক। বনগাঁ এলাকার মিলমালিক কালিদাস সাহার ভাগ্নি তানিয়া আঢ্য মলয়ের স্ত্রী।

Advertisement

রেশন মামলায় মূল অভিযুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হত শঙ্করের সংস্থার মাধ্যমে। ইডির তদন্তকারীদের ধারণা, এই টাকার পরিমাণ কম করে ৯-১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ‘আঢ্য ফোরেক্স’ নামে শঙ্করের একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা মারফত। মলয় সেই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন। মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নাম ছিল শঙ্করের অন্য একটি ফোরেক্স সংস্থা, ‘ত্রিনয়নী ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এ। ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে শঙ্করের একটি ভুয়ো সংস্থাতেও নাম ছিল মলয় এবং তাঁর স্ত্রী— দু’জনেরই।

রেশন মামলায় ইতিমধ্যেই শঙ্করকে গ্রেফতার করেছে ইডি। মঙ্গলবার মলয়কেও ডেকে পাঠানো হল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডির অনুমান, মন্ত্রী বালু ছাড়া রেশন দুর্নীতির যে ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্করের সংস্থা মারফত পাচার হয়েছে বাংলাদেশ এবং দুবাইয়ে তার মধ্যে মলয়ের আত্মীয় কালিদাসের অর্থও রয়েছে। এ ছাড়া ‘আঢ্য ফোরেক্স’ নিয়েও মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। সে ক্ষেত্রে মলয় যদি মঙ্গলবার ইডির তলব এড়িয়ে যান, তবে তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে ইডি অন্য ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে ওই সূত্রে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement