দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)
মিজ়োরামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল মায়ানমার সেনার একটি বিমান। মঙ্গলবার সকালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের লেংপুই বিমানবন্দরে নামার সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটিতে ছিলেন ১৩ জন সেনা। তাঁদের মধ্যে আট জন আহত হয়েছেন।
পর্বতে ঘেরা বিমানবন্দরটিতে বিমান অবতরণ করানো এমনিতেই কষ্টসাধ্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই বিমানবন্দরেই সকালে অবতরণ করার সময় চাকা পিছলে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে মায়ানমার সেনার বিমানটি। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানটি মাঝখান থেকে দুমড়ে গিয়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
গত সপ্তাহে সীমান্ত পেরিয়ে মিজ়োরামে এসে আশ্রয় নেন মায়ানমারের ১৮৪ জন সেনা। সূত্রের খবর, ওই ১৮৪ জনকে দেশে ফেরাতেই মিজ়োরামে এসেছিল মায়ানমার সেনার বিমানটি। মায়ানমারের জুন্টা সরকারের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের আলোচনার পর স্থির হয় যে, দুই ধাপে ওই ১৮৪ জন সেনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সে দেশের সেনা।
বেশ কয়েক মাস ধরে অশান্ত মায়ানমারও। সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়।
এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের চাপে মায়ানমারের বেশ কয়েক জন সেনা গত তিন মাস ধরে মিজ়োরামের লংতোলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। তার পরেই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে এবং মায়ানমারের ওই সেনাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানায় মিজ়োরাম সরকার।