অনুব্রতের বাড়িতে একদা পরিচারক ছিলেন, সেই বিশ্বজ্যোতিকে তলব ইডির। — ফাইল ছবি।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন পরিচারক তথা বোলপুরের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকেও এ বার জেরার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর আগে বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাঁকে ডেকে জেরাও করেছে। এ বার ইডির নজরেও মুন।
এক কালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি। এখন তিনি বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ বার তাঁকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার সেই সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্বজ্যোতির কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর।
২০১১ সালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজে যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। তখন তাঁর বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কী ভাবে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্ট থেকে যা লেনদেন হয়েছে, সবই অনুব্রত কিংবা তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনের নির্দেশে। গরু পাচার মামলায় সহগলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন সহগল তিহাড় জেলে রয়েছেন।
এই মামলার সূত্রে দিল্লিতে ডেকে ইডি জেরা করেছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। টানা তিন দিন তাঁকে জেরা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সুকন্যার বয়ানকেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে চায় সিবিআই।