মণীশ সিসৌদিয়ার (বাঁ দিকে) বিরুদ্ধে সাক্ষ্য কি দেবেন ব্যবসায়ী দীনেশ (ডান দিকে)। — ফাইল ছবি।
দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এ বার কি মণীশ সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন অন্য অভিযুক্ত! সোমবার আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরা এ বার সরকারি সাক্ষী হবেন। ওই মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত হলেন সিসৌদিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। আপ যদিও বার বার অভিযোগ করেছে, গুজরাতে তাদের প্রচারে বাধা দিতেই এ সব করছে বিজেপি। সিবিআইকে হাতিয়ার করছে তারা।
গত সপ্তাহেই দীনেশকে জামিন দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। সিবিআই সেই জামিনের বিরোধিতা করেনি। সোমবার দিল্লির এক আদালতে সিবিআই পিটিশন দিয়ে জানিয়েছে, দীনেশ দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় সরকারি সাক্ষী হবেন। তারা এও জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন দিল্লির ওই ব্যবসায়ী।
নতুন আবগারি নীতি চালুর কথা ঘোষণা করে দিল্লির আপ সরকার। এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন উপরাজ্যপাল। সিবিআইকে বিষয়টিতে নজর দিতে বলেন। তদন্তে নামে সিবিআই। ইতিমধ্যে নতুন নীতি বাতিল করে অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল অভিযোগ জানান, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের কারণে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে দিল্লি সরকার। তিনি বলেন, ‘‘নতুন আবগারি নীতি চালু হলে দিল্লি সরকার ৪০০০ থেকে ৫০০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেত। কিন্তু কার্যকর হওয়ার দু’দিন আগে নতুন নীতিতে বেশ কিছু বদল আনেন উপরাজ্যপাল। তার জেরে ৩০০ থেকে ৪০০ দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ওই দোকানগুলি লাভ করতে পারেনি। লাইসেন্সের খরচও তুলতে পারেনি। এর ফলে সরকারের রাজস্বও কমে গিয়েছে।’’
আপের আরও দাবি, গুজরাত ভোটকে নজরে রেখেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই রাজ্যে ক্রমেই নিজের জমি শক্ত করছে আপ। সুপ্রিমো কেজরীওয়ালের অভিযোগে, মোদী সরকারের প্রক্সি হিসাবে কাজ করছেন উপরাজ্যপাল। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবেই গুজরাতে আপের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন।