ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র ।
প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় রক্ষাকবচ থাকলেও কেন গ্রেফতার করা হল তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল ইডি। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে ইডির তরফে হলফনামা জমা দেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
হলফনামার পাশাপাশি সোমবার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। তাদের আইনজীবীর সওয়াল, এই মামলায় সিবিআই আলাদা ভাবে তদন্ত করছে। তাদের সঙ্গে ইডির কোনও সম্পর্ক নেই। দু’টি তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া আলাদা। এই মামলায় তদন্ত করে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেয়েছে ইডি। বিশাল অঙ্কের আর্থিক বিষয় রয়েছে।
টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় বহাল রাখলে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং মানিক। পুজোর আগে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হলেও স্থগিত ছিল রায় ঘোষণা। তবে সেই সময় মানিককে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া থেকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই।
কিন্তু এর মধ্যেই ১০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে রাতভর টানা জেরার পর আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মানিককে গ্রেফতার করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে মানিকের বিরুদ্ধে বয়ানে ‘অসঙ্গতি’র অভিযোগও আনা হয়। এখন তিনি ইডি হেফাজতেই রয়েছেন।
ওই এক মামলায় আদালতের রক্ষাকবচের পরও, ইডি তাঁকে কেন গ্রেফতার করল সেই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘কোনও তদন্তে আদালত রক্ষাকবচ দিলে, সেটা সব তদন্তের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থাতেই কী ভাবে গ্রেফতার করতে পারে ইডি?’’ তবে সোমবার এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে মানিকের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তার জন্য মঙ্গলবারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।