অভিষেক-শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। ফাইল চিত্র ।
ব্যাঙ্কক যেতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। উচ্চ আদালতের কাছে মেনকার আবেদন, তাঁর মা অসুস্থ। পরিবারের বাকি সদস্যরাও ব্যাঙ্ককেই রয়েছেন। তাই তাঁর সেখানে যাওয়া প্রয়োজন বলে মেনকা আদালতে জানিয়েছেন।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নিয়ে মেনকাকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মেনকার এই আবেদনে আপত্তি জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তাঁর বক্তব্য, মামলাকারীর নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি আছে। তাই তাঁকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা নাগাদ ব্যাঙ্কক যাওয়ার সময় দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেনকাকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে অভিবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, বিমানবন্দরে পৌঁছে পাসপোর্ট টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময়ই মেনকাকে বাধা দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁকে বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে বসিয়ে রাখার অভিযোগও ওঠে। অভিবাসন দফতরের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়, একটি বিশেষ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছে ইডি। আর সেই কারণেই তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে মেনকা বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসেন।
এর পর মেনকাকে তলবের নোটিসও ধরানো হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তিনি হাজিরা দেন। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চালানো হয় জিজ্ঞাসাবাদ। ওই দিনই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডি ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা করেন অভিষেক-শ্যালিকা। আদালতের ‘রক্ষাকবচ’ থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরে কেন তাঁকে আটকানো হল, এই প্রশ্ন তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা।
তবে আদালতে ওঠার পর এই মামলা খারিজ করে দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।