ইডির দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন রুমেন। ছবি: প্রতীকী
ইডির দাবি, তদন্তে বেশি কিছু ‘মিড্লম্যানের’ নাম উঠে এসেছে। তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, রুমেনকে চার কোটি টাকা দিয়েছিলেন আমির। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কেন, তা জানতে রুমেনকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। যদিও আমিরের আইনজীবী বিবেক শর্মা লেনদেনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রুমেনের সঙ্গে। বিবেকের দাবি, আমিরের সঙ্গে রুমেনের সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ক্ষেত্রে বাকিদের সঙ্গে যেমন ট্রানজাকশন হয়, তেমনই হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে আমিরের গার্ডেনরিচের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিছানার তলা থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। পরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সূত্র ধরেই অক্টোবরে ‘আমির-ঘনিষ্ঠ’ কয়েক জন ব্যবসায়ীর যাদবপুর, উল্টোডাঙা, পার্ক স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। তালিকায় ছিল ব্যবসায়ী রুমেনের উল্টোডাঙার বাড়িও। ইডি সূত্রের খবর, সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে দেড় কোটি টাকা। ২০ অক্টোবর দিনভর জেরার পর গ্রেফতার করা হয় রুমেনকে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাপ প্রতারণা মামলায় ইতিমধ্যে আমিরের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। ইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আমির খানের সঙ্গে গত এক বছর ধরে ঘনিষ্ঠতা ছিল রুমেনের।