সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
রেশন মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। তবে ধরা পড়লে যাতে সন্দেশখালির ‘নিখোঁজ’ নেতা আর পালাতে না পারেন, সেই বন্দোবস্ত পাকা করতে চাইছে ইডি। আর সেই কাজে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতিয়ার, শাহজাহানের সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। যা দ্বিতীয় বার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় খুঁজে পেয়েছিলেন ইডির কর্তারা।
ইডি সূত্রে খবর, ওই সমস্ত নথি ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শাহজাহান এবং তাঁর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের অর্থ জমা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইডি এ-ও জেনেছে যে, ওই সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনও হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। ইডির গোয়েন্দারা এখন তদন্ত করে দেখছেন কোথা থেকে ওই টাকা এসেছিল শাহজাহান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে। পরে সেখান থেকে কোথায়ই বা গিয়েছে?
উল্লেখ্য শাহজাহান-সহ আরও দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির দাবিতে গত দু’দিন ধরে উত্তাল হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি। অথচ এই সন্দেশখালিতেই গত ৫ জানুয়ারি প্রথম বার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসে তাঁর অনুগামীদের তাড়া খেয়ে ফিরতে হয়েছিল ইডিকে। গ্রামবাসীরা লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন ইডি কর্তাদের উপর। সেই ঘটনার পর গত ২৪ জানুয়ারি আবার সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় ইডি। তালা ভেঙে শাহজাহানের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। গোটা বাড়িতে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি সঙ্গে করে ফেরেন ইডির কর্তারা। এই সব নথি এবং আরও নানা তথ্য ঘেঁটে শাহাজাহানের সম্পত্তির হদিসও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে তাঁর নামে নথিভুক্ত বেশ কিছু মাছের ভেড়ি, জমিজমার কাগজপত্র হাতে পেয়েছন ইডির গোয়েন্দারা। এ ছাড়া শাহজাহানের নামে একটা গোটা বাজার তো রয়েছেই। তল্লাশিতে সেই বাজারের প্রজেক্ট প্ল্যান সংক্রান্ত নথিপত্রও হাতে এসেছিল ইডির। আর পাওয়া গিয়েছিল ১৯টি অরেজিস্ট্রিকৃত দলিল। শাহজাহানের সম্পত্তির হদিস পেতে এখন এই সমস্ত দলিলও খতিয়ে দেখছে ইডি। শাহজাহানকে হাতে না পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে আটঘাট বেঁধে রাখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।