বিধানসভায় হাজিরা এড়িয়ে গেল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআই। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় তাঁদের হাজিরার জন্য তলব করেছিলেন। কিন্তু, দুপুরে ইডি-র এক প্রতিনিধি এসে স্পিকারের দফতরে একটি চিঠি জমা দেন। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতেই তারা বিধানসভায় হাজিরা দেবে না বলে জানিয়েছে ইডি। বিধানসভায় ইডি-র চিঠি আসার কিছুক্ষণ পরেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় একটি ইমেল। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের কোনও প্রতিনিধি যে স্পিকারের ডাকা হাজিরায় অংশ নেবেন না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই ইমেলে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি ও সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে বিধানসভায় হাজিরা দিতে বলেন বিমান। ১৮ মে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। নারদ মামলায় তাদের গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।ওই গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন স্পিকার। বিমানের মত ছিল,বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে হলে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট-এর ১৯(১) ধারায় চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ইডি ও সিবিআইয়ের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন তিনি। ওই গ্রেফতারির ক্ষেত্রে সিবিআই ও ইডি তেমনটা করেনি। তাই তাদের অবস্থান জানতে বিমান সিবিআইয়ের ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিংহ ও ইডি-র রথীন বিশ্বাসকে হাজিরার জন্য চিঠি পাঠান। বুধবার বেলা ১টায় বিধানসভায় আসতে বলা হয় সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের। কিন্তু, সেই হাজিরা এড়িয়ে গেল দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই গরহাজিরার প্রসঙ্গে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি স্পিকার।