বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হাজিরা দেওয়ার কথা সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকদের। ফাইল চিত্র।
নারদ-কাণ্ডে মন্ত্রী,বিধায়কদের গ্রেফতার নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে রাজ্য বিধানসভার টানাপড়েন অব্যাহত। সোমবার বিধানসভা সচিবালয়কে চিঠি দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবারই বিধানসভার সচিবালয় থেকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হয়েছে ইডি-র বিধাননগরের দফতরে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য চিঠি পাওয়া বা পাল্টা চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আশা করব, তাঁরা আমাদের ডাকে সা়ড়া দিয়ে যথা সময়ে হাজির হবেন।’’ সূত্রের খবর, চিঠিতে ইডি জানিয়েছে বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপই তারা করেছে, তা আইন মেনেই। প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিংহ ও ইডি-র রথীন বিশ্বাসকে হাজিরার চিঠি পাঠিয়ে বিধানসভায় তলব করেন স্পিকার। বুধবার বেলা ১টায় বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছে সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের।
ইডি ও সিবিআইয়ের ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট ১৯(১)’ ধারায় চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল বলে জানিয়েছিলেন বিমান। গত ১৭ মে নারদ মামলায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজ্যপালের থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু স্পিকার বিমান প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর অনুমতি না নিয়ে কী ভাবে বিধানসভার সদস্যদের গ্রেফতার করে সিবিআই? সেই বিষয়টি নিয়েই স্পিকার তাঁদের বিধানসভায় তলব করেছেন বলে সূত্রের খবর। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনেও বিমান ইডি ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।