চালু হল পাতালের নয়া স্টেশন ফুলবাগান।
রাজনৈতিক তরজা থেকে মুক্ত থাকল না ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ফুলবাগান পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারণ অনুষ্ঠান। মেট্রোর তরফে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এ দিন ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকেননি স্থানীয় সাংসদ, রাজ্যের এক মন্ত্রী ও এক বিধায়ক। উপযুক্ত মর্যাদা এবং গুরত্ব দিয়ে রেল রাজ্যকে অনুষ্ঠানের কথা জানায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ এবং লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে সেক্টর-৫ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত পরিষেবা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানেও রাজ্যের তরফে কেউ হাজির হননি। রেল মন্ত্রকের ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একেবারে শেষ মুহূর্তে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।
তাঁদের অনুপস্থিতিতেই এ দিন অনলাইনে মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের সূচনা করেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। নিজের বক্তৃতায় প্রকল্পে বিলম্বের প্রসঙ্গ তুলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ বিলম্বে প্রকল্পের খরচ বেড়েছে। ২০১৫ পর্যন্ত প্রকল্পে সেভাবে কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগ্রহে এবং নজরদারিতে কাজ দ্রুত এগিয়েছে।” কেন্দ্রীয় বন এবং পরিবেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে নিজের বক্তৃতায় বলেন, ‘‘ ফাইলে কাজ করা আর বাস্তবের মাটিতে প্রকল্প রূপায়িত করা এক নয়। আমাদের রেলমন্ত্রী প্রকল্প রূপায়িত করেছেন। ’’
এ দিন বাবুলের মন্তব্য প্রসঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নতুন প্রকল্প দিয়েছিলেন। তারপর কেন্দ্র আর কিছু দেয়নি। সুতরাং এখন কে কাকে আমন্ত্রণ করল না করল তাতে কিছু যায় আসে না। বিজেপির সংস্কৃতি যে এরকমই সকলেই তা জানে। ’’
লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা এবং রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে এই কর্মসূচির খবর একটা চিঠি দিয়েও জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি কেন্দ্র। তাই আমিও ভাবলাম আমার ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাজ্য সরকারের পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ করতেন। সুভাষবাবু যেতেনও।’’