ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার কতটা অর্থ দেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট জানায়নি। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স) মর্যাদা কেন্দ্রীয় সরকার দিতে পারছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। শনিবার এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, এখনও সরকারি ভাবে তাঁদের জানানো হয়নি। সব কিছু জেনে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ইউজিসিকে তিনি চিঠি দেবেন।
উপাচার্য বলেন, ‘‘বছরের পর বছর কেন্দ্রের করা উচ্চশিক্ষার র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম দশে থাকছে। এর পর কেন্দ্রের এই মনোভাব পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষার পক্ষে অসম্মানজনক।’’
বছর কয়েক আগে কেন্দ্র যে কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেশের উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য বেছেছিল তার মধ্যে প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মধ্যে এ রাজ্যের যাদবপুর এবং তামিলনাড়ুর অন্না বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, এই মর্যাদার সঙ্গে যে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার করা ঘোষণা হয়েছে তার ২৫ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হবে। সুরঞ্জনবাবু জানান, দু’বছর আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের যা আর্থিক অবস্থা তাতে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। ১ হাজার কোটির বদলে ৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক। তার ২৫ শতাংশ যাদবপুর নিজেদের তহবিল থেকে দেবে।
প্রসঙ্গত, অন্না বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই সম্মান দেওয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যাদবপুরের সঙ্গে এ বার বাদ দেওয়া হচ্ছে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়কেও। সুরঞ্জনবাবুর মতে, রাজ্যের পক্ষে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। উৎকর্ষের সঙ্গে টাকার যোগও থাকতে পারে না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অনুচিত।