(বাঁ দিকে) দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র। ধর্মতলায় বিজেপির সমাবেশ (ডান দিকে) —নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় বিজেপির সভায় প্রত্যাশিত ভিড় হয়নি। প্রতি বছর যেখানে তৃণমূল ২১ জুলাইয়ে শহিদ দিবসের সভা করে, সেখানেই এ বার বিজেপি সমাবেশের আয়োজন করেছিল। ভাষণ দিয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ। কিন্তু ভিড়ের বহর, বক্তৃতা, স্বতঃস্ফূর্ততা ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে, বিজেপির সভা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্ষিক সভার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি, তা একান্ত আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতাই। এ বার ধর্মতলার সভার ‘ব্যর্থতা’র কারণ ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ জানান, রাজ্যের শাসকদল হিসাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেই সভা-সমাবেশে সফল তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা সারা বছর শক্তি-সামর্থ্য প্রয়োগ করে, টাকাপয়সা খরচ করে সভা করে। দু’মাস আগে থেকে জেলায় জেলায় তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। বিনামূল্যে বাস, ট্রেন, গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সে ভাবে লোক আনে। তাই ভিড় হয়। কিন্তু ওরা ব্রিগেডে কেন সভা করে না?’’
দিলীপ আরও বলেন, ‘‘আমরা তো বাৎসরিক সভা ব্রিগেডে করি। তৃণমূল শেষ কবে ব্রিগেডে সভা করেছে? ওখানে একটা সভা করে দেখাক।’’ এর পরেই ধর্মতলার সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো আমাদের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ ছিল।’’ অর্থাৎ, ধর্মতলায় শাহের সভার দিন সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে নামেনি বিজেপি, দাবি দিলীপের।
একইসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিলীপ টেনে আনেন বুধবারের বিধানসভার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না। বিজেপির ভয়ে ওদের বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। ক্ষমতা থাকলে ওঁরা বাইরে বেরিয়ে সভা করুন।’’ রাজ্যের শাসকদলের অন্দরের পরিস্থিতিকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তাঁর মতে, তৃণমূলের এখন ‘ছন্নছাড়া দশা’। দলের নেতারা মানুষের সামনে আসতে ভয় পাচ্ছেন। তৃণমূলকে দলের মধ্যেকার সেই দ্বন্দ্ব আগে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ।