—ফাইল চিত্র।
দেবীপক্ষের সূচনার পরেও রাজনীতির পারদ চড়ছেই রেলশহরে। রবিবার বিকেলে শহরে এসে রেলকে বিঁধেছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ১২ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার সকালে শহরে চা-চর্চায় বেরিয়ে পাল্টা জবাবে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
রবিবার শহরের উন্নয়নে রেলের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু। রবিবার রাতেই নিজের ‘খাসতালুক’ এই রেলশহরে পৌঁছন দিলীপ। এ দিন সকালে চা-চর্চায় বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ প্রশ্ন তোলেন, “এখন ওঁর(শুভেন্দু অধিকারী) খড়্গপুরের কথা মনে পড়ল। এতদিন তো মনে পড়েনি। সামনে নির্বাচন আছে বলেই কী?”
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে গত লোকসভায় দিলীপ সাংসদ হওয়ায় খড়্গপুরে বিধানসভা উপনির্বাচন আসন্ন। আর তা নিয়েই চলছে রাজনীতি। শহরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল। জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বারবার রেলশহরে ছুটে আসছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু। পরিবহণ দফতরের মাধ্যমে দিচ্ছেন নানা উপহার। শহরের অনুন্নয়নে দুষছেন রেলকে। এ দিন অবশ্য শুভেন্দুর পাল্টা পুরসভাকে বিঁধে দিলীপ বলেন, “শহরে তো ৩৫টি ওয়ার্ড। ৮টি ওয়ার্ডে হয়তো রেল কাজে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বাকি ওয়ার্ডে কে বাধা দিচ্ছে? সেখানে উন্নয়ন কোথায়? কেন হয়নি? সামান্য বৃষ্টিতে সব জায়গায় জল জমে যাচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ‘‘কেউ উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে না। আমি জানি, ডিআরএমও ওদের সহযোগিতা করেন।” এমন মন্তব্যের জবাবে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “দিলীপ ঘোষ উন্নয়ন চোখে দেখতে পারছেন না। আসলে উনি (দিলীপ) খড়্গপুরের বাসিন্দা না হওয়ায় আগে খড়্গপুর কেমন ছিল জানেন না। তা ছাড়া জল নিকাশির জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়েছি। উনি সাংসদ হিসাবে সেই টাকা নিয়ে আসুন। সেটাও যদি না পারেন তবে অন্তত শহরে শান্তি বজায় রাখুন।”
দিলীপ এ দিন শহরের সাউথ সাইড এলাকায় চা-চর্চায় শহরের শিক্ষক, রেলকর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আগামী পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিনে তিনি শহরে আসবেন বলেও জানান। ওই দিনগুলিতে শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।