বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর বাম হিন্দু ভোটে জয়ের তত্ত্ব শুনে তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু জিতেছেন, ফলে তিনিই বলতে পারবেন কী ভাবে জিতেছেন। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদলালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে খড়্গপুরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে তাঁর মন্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, বহু জায়গায় বাম ভোট গেরুয়া শিবিরে গিয়েছে।
এ দিন বোগদার এক চা-চর্চায় যোগ দেন দিলীপ। সেখানে বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নানা রাজনৈতিক আলোচনাও করেন তিনি। দিলীপ বলেন, “নন্দীগ্রামে একসময়ে যাঁরা সিপিএমকে ভোট দিতেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে এসেছেন। বহু জায়গাতেই এসেছেন। তার জন্য আমরা জিতেছি। এটা তো উনি (শুভেন্দু) ভাল করে জানেন কারা-কারা এসেছেন। এটা ঠিক ওখানকার মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। বেশিরভাগ হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে এসেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পেরেছি।” তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে বিজেপি হাত মেলাবে কি না সেই প্রশ্নে দিলীপ স্পষ্ট বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব সচেতন। তাঁরা যদি মনে করেন তৃণমূলকে হারাতে এক জায়গায় হওয়া দরকার তাহলে তাঁরা ঠিক করে নেবেন। বিজেপির কারও সঙ্গে সমঝোতা করার দরকার নেই।”
এ দিন বিকেলে নারায়ণগড়ে আবার বিজেপির অঞ্চল সম্মেলনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ তৃণমূলের ‘দিদির দূত’দের গাছে বাঁধান নিদান দেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদির দূতরা এলে জিজ্ঞাসা করবেন, কেন আমার পাকাবাড়ি হয়নি? কেন আমাদের গ্রামের রাস্তা পাকা হয়নি? পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞাসা করবেন সবাই। না হলে নারকেল গাছে, ইউক্যালিপটাস গাছে বাঁধবেন। গরুর দড়ি দিয়ে বাঁধবেন। বাড়ি যেতে দেবেন না।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘এঁরা হচ্ছেন শনি-রবির পার্টি ওয়ার্কার। ছুটি কাটাতে এসে গরম গরম বক্তৃতা দেন। পঞ্চায়েত ও লোকসভায় হেরে গেলে এঁদের চিৎকার বন্ধ হয়ে যাবে।’’