মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার কথা গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এত দিন তা আইনি জটে আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ধূপগুড়ি পৃথক মহকুমা হওয়ার বিষয়ে আইনি জট কেটে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক একটি অনুষ্ঠানে মিলিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, ধূপগুড়ি এ বার থেকে পৃথক মহকুমা। আইনি জটের বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের বড় প্রতিশ্রুতি ছিল, তারা জিতলে পৃথক মহকুমা হবে। প্রচারে গিয়ে প্রথম সে কথা জোরের সঙ্গে বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলাদা মহকুমার দাবি স্থানীয়েরা দীর্ঘ দিন ধরেই জানাচ্ছিলেন। ওই উপনির্বাচনে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। ভোটের পর বিজেপি নেতারাও ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন, শেষ পর্বে অভিষেকের মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি ধূপগুড়ির ভোট সমীকরণ বদলে দিয়েছিল।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও আশ্বাস দিয়েছিলেন পৃথক মহকুমার। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, তা হয়নি। উপনির্বাচনের আগে ফের সেই দাবি ওঠে। ধূপগুড়িতে ভোট ছিল গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর। ৩ সেপ্টেম্বর শেষ দিনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দেন, তিন মাসের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কথা দিয়ে গেলাম। তিন মাসের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দায়িত্ব আমি কাঁধে তুলে নিলাম।’’
উল্লেখ্য ভোটের ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার বিষয়ে সিলমোহর পড়ে। কিন্তু তা নানাবিধ আইনি জটে আটকে ছিল। সেই জট কেটে গিয়েছে বলেই বৃহস্পতিবার জানালেন মমতা।