ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা, বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত মা

ছেলেকে জোর করে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হল ওই যুবকের মাকেও। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার কচুয়ার স্বরূপনগরে। আহত নুরজাহান বেগমকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বরূপনগরের বাসিন্দা রাকিব হোসেন এবং ওই গ্রামেরই আশাদুল ওরফে বাবু যৌথ ভাবে চামড়ার ব্যাগের ব্যবসা করতেন। রাকিবের বাড়িতেই ব্যাগ তৈরির কারখানা। সম্প্রতি ব্যবসার টাকাপয়সা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মতান্তর হয়। তা নিয়ে সোমবার রাতে গ্রামে সালিশি সভা বসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৪ ০২:৫৪
Share:

প্রহৃত প্রৌঢ়া। —নিজস্ব চিত্র।

ছেলেকে জোর করে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হল ওই যুবকের মাকেও। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার কচুয়ার স্বরূপনগরে। আহত নুরজাহান বেগমকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বরূপনগরের বাসিন্দা রাকিব হোসেন এবং ওই গ্রামেরই আশাদুল ওরফে বাবু যৌথ ভাবে চামড়ার ব্যাগের ব্যবসা করতেন। রাকিবের বাড়িতেই ব্যাগ তৈরির কারখানা। সম্প্রতি ব্যবসার টাকাপয়সা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মতান্তর হয়। তা নিয়ে সোমবার রাতে গ্রামে সালিশি সভা বসে। আশাদুল ওরফে বাবু দোষী সাব্যস্ত হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় ওই যুবক। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ বেশ কয়েক জন বহিরাগতকে সঙ্গে নিয়ে আশাদুল রাকিবের বাড়িতে আসে। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, রাকিবকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশাদুলের লোকজন। বাধা দেন ব্যাগ তৈরির কারখানার শ্রমিকেরা। দু’পক্ষের মারপিট বাধে। ভাঙচুর করা হয় কারখানা।

পুলিশ জানায়, ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেখে নুরজাহান বেগম বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ে হামলাকারীরা তাঁর উপরে চড়াও হয়। এক দুষ্কৃতী বড় পাথর তুলে নুরজাহানের মাথায় ঘা মারে। মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান প্রৌঢ়া। ইতিমধ্যে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে সঙ্গীদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ে আশাদুল। পরে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন রাকিব।

Advertisement

বসিরহাট থানা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে রাকিবের স্ত্রী বেনজির খাতুন বলেন, ‘‘টাকা আত্মসাতের করেছিল আশাদুল। তারপরে লোকজন এনে হামলাও করল। যখন শুনলাম স্বামীকে অপহরণ করে খুন করতে চায় ওরা, সাঙ্ঘাতিক ভয় পেয়ে যাই। শাশুড়ি-মা বাধা না দিলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটত।” নুরজাহান বেগম বলেন, ‘‘ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গিয়ে খুন করবে বলে হুমকি দিচ্ছিল ওরা। শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। রাকিবকে টেনে ধরতেই ওরা আমার মাথা ফাটিয়ে দিল। প্রতিবেশীরা সময় মতো বেরিয়ে না এলে মুশকিলে পড়ে যেতাম সকলে।” পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশাদুলের খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement